পঞ্চম দিনের মতো বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুরের সারাবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা তাদের অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৭টায় থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চক্রবর্তী মোড়ে অবস্থা নিয়ে তারা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। সড়কের উভয় পাশে যানবাহন আটকা পড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, বেক্সিমকো কারখানার শ্রমিকরা সকাল ৭টা থেকে আন্দোলন শুরু করে এবং সড়ক অবরোধ করে রাখছে। সড়ক অবরোধ করে রাখলেও বিকল্প পথে চালকরা তাদের গন্তব্য যাওয়ার চেষ্টা করছে।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শ্রমিকরা জানান, বেতন পরিশোধ না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। যতদিন টাকা না পাবেন, ততদিন বাসায় ফিরবেন না। আজ পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলন চলছে। কর্তৃপক্ষ এখনও বেতন পরিশোধের কোনও আশ্বাস দেয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, শ্রমিকেরা গণমাধ্যমকর্মীদের তাদের আশপাশে থাকতে দিচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আজ শ্রমিকরা খুব বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েছে। বহিরাগত কাউকে দেখলেই মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করে ফেলে। মারাত্মক আক্রমণাত্মক মনোভাব রয়েছে শ্রমিকদের মাঝে। দিনের পর দিন উত্তেজনা বেড়ে চলেছে।
সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছে।
শিল্প পুলিশ জানায়, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে পোশাক ও সিরামিক কারখানায় ৪১ হাজার কর্মী রয়েছে। এর মধ্যে আরএমজি কারখানার শ্রমিকরা সপ্তাহখানেক ধরেই সড়ক অবরোধ করে গত অক্টোবর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছেন। রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে রাখেন। রাতে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নিলেও সোমবার সকাল থেকে পুনরায় ওই সড়ক অবরোধ করে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছেন। শিল্প পুলিশ গিয়ে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে কাউকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে শ্রমিকদের আন্দোলন চলমান রয়েছে। এই আন্দোলন গাজীপুর মহানগরীর ভেতরে পড়েছে, জানান সাভার হাইওয়ে পুলিশের ওসি সওগত উল আলম।