নাব্যতা-সংকটের কারণে মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল আবারও বন্ধ হয়ে গেছে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে ডুবোচরে আটকে পড়ার আশঙ্কায় ফেরি চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)।
এ নিয়ে চলতি মাসে তৃতীয়বারের মতো এই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হলো। এর আগে দুই দফায় প্রায় ৯৮ ঘণ্টা আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ফেরি বন্ধ থাকে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই নৌপথে পলি জমে নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতেই ফেরি চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পণ্যবাহী পরিবহনের শ্রমিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। ঘাট এলাকায় অর্ধশতাধিক পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়েছে। নৌপথের নাব্যতা-সংকটের কারণে পণ্যবাহী পরিবহনসহ অন্যান্য পরিবহন ও যাত্রী পারাপারে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে এই নৌপথে যানবাহনগুলোকে বিকল্প পথে যেতে হলে সময় ও খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
নাব্যতা-সংকটের কারণে ১ নভেম্বর থেকে ২ দিন ৩৭ ঘণ্টা এবং ৮ নভেম্বর থেকে ২ দিন ৬১ ঘণ্টা এই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক আবু আবদুল্লাহ বলেন, স্বাভাবিক সময়ে নৌপথে প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ থেকে ৪০০ পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার হয়। এই নৌপথে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে পাঁচটি ফেরি চলাচল করে। তবে নাব্যতা–সংকটের কারণে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে এই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে। তিনি আরও বলেন, নাব্যতা–সংকট দূর করতে নৌপথের পলি অপসারণে খনন কাজ চলছে। নৌপথটি চলাচলের উপযোগী হওয়ার পর ফেরি চলাচল শুরু হবে। যানবাহনের চালকদের সাময়িকভাবে বিকল্প পথ ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।