Published : Wednesday, 13 November, 2024 at 8:44 PM
২০১৬ সালে চট্টগ্রামে করা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের মামলা বাতিল করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিএনপি নেতা অ্যানি চৌধুরী বিরুদ্ধে ছয় মামলা বাতিল করেছে হাইকোর্ট।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ রিফাত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আদালতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে হয়রানি করতে চট্টগ্রামের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আমরা আদালতকে বলেছি, একজনের ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে হয়রানি করতে মামলা করা হয়েছে।
ব্যারিস্টার চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, মামলার বিষয়বস্তুর সঙ্গে আসামিদের বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। দীর্ঘদিনেও আসামিদের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেনি বাদী। শুধু রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে রায় দেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকীর কথিত ফেসবুকে স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়া এবং জাতির জনককে অবমাননার অভিযোগে খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর (সংশোধিত ২০১৩) ৫৭ ধারায় অভিযোগটি করা হয়। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আ স ম শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদের সুজন এ অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তা মামলা হিসেবে নিতে বোয়ালখালী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা চৌধুরী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে ইরাদের নামে খোলা একটি ফেসবুক পেজ থেকে ২০১৬ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। তার আগে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক ছবিও আসে ওই ফেসবুক পেজে।
এরপর বিভিন্ন স্থানে ইরাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর (সংশোধিত ২০১৩) ৫৭ ধারায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আসামি করে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।