Published : Wednesday, 13 November, 2024 at 8:31 PM
সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তিতে এবারো লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। এবার প্রকাশিত ভর্তি নীতিমালায় মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। নাতি-নাতনি কোটা বাদ দিয়ে শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটায় ভর্তির সুযোগ রাখা হয়েছে। এছাড়াও কিছু কোটা প্রথা বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেগুলো হলো গণভবন কোটা এবং কলোনি কোটা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন গণভবনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানরা শতভাগ কোটা সুবিধায় ভর্তির সুযোগ পেতো। এবার সেই কোটা বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাজধানীর নামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে মতিঝিল এজিবি কলোনি কোটা রয়েছে। কলোনিতে বসবাস করা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছেলেমেয়েরা অলিখিতভাবে কোটা সুবিধা পেয়ে আসছে। সেই কোটাও এবার বাতিল করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্কুল শাখার একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, কোটায় ভর্তির বিষয়টা তো বিশাল বাণিজ্যের। এ নিয়ে প্রচুর অভিযোগ জমা আছে। এখন থেকে এ কোটা আর থাকছে না। অন্যান্য স্কুলের মতোই এগুলোতেও শুধু লটারির মাধ্যমেই ভর্তিচ্ছু নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের কথা শিক্ষা অধিদপ্তর ও টেলিটককে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
অভিভাবকরা বলছেন, ইচ্ছামতো শিক্ষার্থী ভর্তি করতেই স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এ কোটা চালু করেছিলেন। কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তিকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের বাণিজ্য হয়, তাই এই কোটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। বিষয়টি খোদ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও স্বীকার করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের জন্য যে ৫ শতাংশ কোটা ছিল সেটাও তুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেমেয়ের জন্যই কেবল ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এ কোটায় শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে এ আসনে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেয় মাউশি।
প্রসঙ্গত, ১২ নভেম্বর থেকে প্রথম-নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত। আবেদন শেষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই ও ভর্তি করানো হবে।