রীতিমত ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে ব্যাট করা শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সঙ্গী ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দু’জনের ব্যাটে উঠলো ১৪৫ রান। ৬৬ রান করে মিরাজ বিদায় নিলেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দাঁড়িয়েছিলেন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে। কিন্তু শেষ ওভারে কাঙ্খিত রান তুলতে পারলেন না তিনি। মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেন রিয়াদ। ৯৮ রানে শেষ বলে রানআউট হলেন তিনি।
ক্যারিয়ারে ৫ম ওয়ানডে সেঞ্চুরি মিস করলেও বাংলাদেশ দলকে দারুণ এক লড়াকু ইনিংস উপহার দিয়েছেন বর্ষিয়ান এই ব্যাটার। তার ৯৮ রানের ওপর ভর করে আফগানিস্তানকে ২৪৫ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে টাইগাররা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনজুরির কারণে এই ম্যাচ মিস করেছেন নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুর্দান্ত সূচনা করে টাইগাররা। দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও সৌম্য সরকার মিলে গড়েন অর্ধশত রানের জুটি। দলীয় ৫৩ ও ব্যক্তিগত ২৪ রানে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। সৌম্যের বিদায়ের পরপরই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তানজিদ তামিম। ১৯ রান করে মোহাম্মদ নবির বলে হাসমতউল্লাহ শাহীদির হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মেহেদী মিরাজ। তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন জাকির হাসান ও তাওহিদ হৃদয়। দুজনের ব্যাটেই এ ম্যাচে দেখা যায় রান খরা। জাকির ও হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৪ ও ৭ রান।
৭২ রানে ৪ উইকেট হারালে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ১৪৫ রানের বিশাল জুটি গড়েন মেহেদী মিরাজ। ব্যক্তিগত ৬৬ রানে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন মিরাজ। জাকির আলী ফেরেন ১ রানে। নাসুম আহমেদের ব্যাটে আসে ৫ রান।
ইনিংসের শেষ বলে শতরান থেকে মাত্র দুই রান দূরে থাকতে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৯৮ রানে রান আউটের শিকার হন তিনি।
আফগানিস্তানের পক্ষে ৩৭ রানের খরচায় ৪টি উইকেট তুলে নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এছাড়া ১টি করে উইকেট পান মোহাম্মদ নবি ও রশিদ খান।