সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মোহাম্মদ আবু হেনা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন যোগ্য না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যোগ্য নির্বাচন কমিশন দরকার। আর আইন যতই ভালো হোক, প্রয়োগ না হলে এর সুফল আসবে না।
সোমবার (১১ নভেম্বর) নির্বাচন সংস্কার বিষয়ক কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। নির্বাচন কমিশন ভবনে এ বৈঠক অনিুষ্ঠিত হয়।
আবু হেনা বলেন, কমিশনের আমন্ত্রণে এসেছিলাম। আমার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছি। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা করেছি। আগামী নির্বাচন নিয়ে আমার কিছু সুপারিশ আছে। আমি তাদের বলেছি, আশা করছি তারা বিবেচনা করবেন। দেশের একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে আমি চাই, আগামীতে যে নির্বাচন হবে, হোক সেটা সাধারণ নির্বাচন বা অন্যান্য নির্বাচন, সেগুলো যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় এবং এর দ্বারা যেন দেশ ও জনগণের কল্যাণ হয়।
তিনি আরও বলেন, আইন যতই ভালোই হোক না কেন, প্রয়োগ না হলে সুফল আসে না। যতই সংস্কার করেন না কেন, নির্বাচন কমিশনে যোগ্য সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনার দরকার। তারা যদি যোগ্য না হন, তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়ন প্রয়োজন উল্লেখ করে সাবেক সিইসি বলেন, প্রার্থী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার দরকার। ওপর থেকে যেন আরোপ করা নয়। প্রার্থীকে নিচে থেকে উঠে আসতে হবে। ভোটের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী দিতে হবে। এটা যদি সবগুলো দল বাস্তবায়ন করে তবে দেশের জন্য কল্যাণ হবে।
নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন দরকার কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন প্রয়োজন নেই। এ পদ্ধতিই কার্যকর হতে পারে। সংসদ কত কক্ষের হবে, সেটা দলগুলোর ওপর ছেড়ে দেয়াই ভালো।
এদিকে নির্বাচন বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, 'আমরা আইন-কানুন গভীরভাবে পর্যালোচনা করছি। ১৭ থেকে ১৮টি বৈঠক করেছি। আমাদের অগ্রগতি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। দলগুলোর কিছু মতামত পেয়েছি। গণমাধ্যমের সঙ্গেও বসব।'
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক ধরনের মতামত আছে। এক্ষেত্রে অনেক মতামত বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা সংশ্লিষ্ট কমিশনের সঙ্গেও বসব।