ছাত্র-জনতার অংশীদারিত্ববিহীন সিদ্ধান্তে উপদেষ্টা নিয়োগ এবং এতে ফ্যাসিবাদী দোসরদের স্থান দিয়ে শহীদের রক্তের অবমাননার অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয় এ কর্মসূচি।
এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ছাত্র-জনতার অংশীদারিত্ববিহীন সিদ্ধান্তে উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেবে না ছাত্রসমাজ। জুলাই-আগস্টে ফেসবুকে ২/১টা পোস্ট দিয়েই উপদেষ্টা হয়ে যাচ্ছেন। কীভাবে হচ্ছে সেটি বোঝা দরকার মন্তব্য করেন তারা।
তার বলেন, ভারতের দালালী করা ব্যক্তিরাও ডাক পাচ্ছেন বঙ্গভবনে, যেটি অভ্যুত্থানের সাথে বেঈমানী। উত্তরবঙ্গের কোনো জেলার কেউ উপদেষ্টা নিয়োগ না পাওয়ার সমালোচনাও করেন আন্দোলনকারীরা। এমন নিয়োগ ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। ফারুকীকে কীভাবে নিয়োগ দেয়া হলো সেটি স্পষ্ট করার আহবানও জানান তারা।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেখ বশির উদ্দিনকে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে ফ্যাসিবাদবিরোধী বিপ্লবী ছাত্র জনতা। বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহীদদের এখনও রক্তের দাগ শুকায়নি, আহতরা এখনও কাতরাচ্ছে।
এমন অবস্থায় ছাত্রজনতার আন্দোলনের বিপক্ষে থাকা এবং মামলার একজন আসামীকে উপদেষ্টা করার সিদ্ধান্ত শহীদদের সাথে বেঈমানী। বেধে দেয়ার সময়ের মধ্যে বিতর্কিত উপদেষ্টাকে অপসারণ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।