জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের দাবিসহ তিন দফা ও ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনের মোড় অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১টায় শিক্ষা ভবনের সামনের চৌরাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকেই সব কিছু থেকে বঞ্ছিত। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে এগোতে দেওয়া হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে সবসময় আলাদা সুবিধা দেয়া হয়। তাদের ২১টি হল থাকা সত্ত্বেও তাদের জন্য আলাদা বৃত্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অথচ আমাদের মাত্র একটি হল তারপরও আমাদের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা না করা সত্যি হতাশাজনক। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা এখান থেকে ওঠবো না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমাদের সকল দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না। অনেক অবহেলার শিকার হয়েছি, আর না। এইবার অধিকার আদায়ের সময় এসেছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের অধিকার।
আন্দোলনের মুখপাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, আমরা আমাদের দাবি গুলোর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রনালয়কে ৩ দিনের একটি আল্টিমেটাম দিব। এবং হিট প্রকল্পের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আজকের মধ্যেই লিখিত দিতে হবে।
এদিন শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে পূর্ন সমর্থন জানিয়ে আন্দোলনে উপস্থিত হন জবি শাখা ছাত্রশিবির। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইকবাল হোসেন শিকদার বলেন, শিক্ষার্থীদের যেকোনো ন্যায্য আন্দোলনে আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরা প্রত্যক্ষভাবে আজ সরাসরি আন্দোলনে যুক্ত আছি। সুষ্ঠভাবে দ্রততার সঙ্গে নতুন ক্যাম্পাসের কাজ সম্পন্ন করার জন্য সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করতে হবে। সেই সঙ্গে হিট প্রকল্পে জবিয়ানদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং ৭ দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এই দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হয়েছে ; অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে; সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণাকৃত পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট সর্বনিম্ন ৫০০ (পাঁচশত) কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।