একক যাত্রার টিকিট এবং এমআরটি পাসের মধ্যে পার্থক্য করার জন্যে ইতোপূর্বে ৫০ হাজার একক যাত্রার টিকেটের রং পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু তাতেও সুফল পাওয়া যায়নি।
মেট্রোরেলের একক যাত্রার টিকিটের কার্ড থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও জাতীয় সংসদ ভবনের ছবি বাদ দিয়ে তাতে মেট্রোট্রেনের প্রতীকী ছবি যুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, এ পরিবর্তনের প্রক্রিয়া তারা শুরু করেনি। এটি গত সরকারের আমলেই শুরু হয়েছিল। নতুন ডিজাইনও চূড়ান্ত করেছিল বিগত সরকার।
আজ রোববার ডিএমটিসিএল তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ কথা জানায়। এতে বলা হয়, এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পের আওতায় প্যাকেজ-সিপি-০৭ মোট ৩ লাখ ১৩ হাজার একক যাত্রার টিকিট ও ৮ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ এমআরটি (ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট) সরবরাহ করে। একক যাত্রার টিকিট ও এমআরটি পাসের নকশা একই রকম হওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
এমআরটি পাসধারী যাত্রী এক্সিট গেটে কার্ড টাচ করে বের হয় এবং একক যাত্রার টিকিটধারী যাত্রীকে টিকিট এক্সিট গেটের স্লটে প্রবেশ করাতে হয়। উভয় কার্ডের ডিজাইন একই রকম হওয়ায় একক যাত্রার টিকিটধারী যাত্রী এমআরটি পাসধারী যাত্রীকে অনুসরণ করে একক যাত্রার টিকিটধারী যাত্রী টিকিটটি এক্সিট গেটের স্লটে প্রবেশ না করিয়ে টাচ করায় এক্সিট গেট এলার্ম প্রদান করে এবং সাময়িক সময়ের জন্য অকার্যকর হয়ে যায়। ফলে এক্সিট গেটে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।
ডিএমটিসিএল জানায়, এরই মধ্যে ২ লাখেরও বেশি একক যাত্রার টিকিট হারিয়ে গেছে। একক যাত্রার টিকিটধারী যাত্রী টিকিটটি স্লটে জমা না দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ডিজাইন একই রকম হওয়ায় এক্সিট গেটে কর্তব্যরত ব্যক্তি একক যাত্রার টিকিটধারীকে বাধা দিতে বিভ্রান্ত হয় এবং এতে যাত্রী হয়রানিসহ নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাই এ নতুন টিকিট।