যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে বেছে নিয়েছেন এক নারীকে। ৬৭ বছর বয়সী সুসি উইলস প্রথম নারী হিসেবে এই পদে নিয়োগ পেলেন।
শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজে ফেরার প্রস্তুতি হিসেবে প্রথম তিনি কোনো কর্মীর নাম ঘোষণা করলেন।
হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ মূলত প্রেসিডেন্টের প্রশাসনিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি হোয়াইট হাউজের কর্মীদের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বও সামলান। এছাড়া প্রেসিডেন্টের প্রতিদিনের কর্মসূচি ঠিক করার পাশাপাশি সরকারি বিভাগ ও আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন।
নাম ঘোষণার সময় ট্রাম্প বলেন, সুসি কঠোর পরিশ্রমী, স্মার্ট, উদ্ভাবনী এবং সর্বজনীনভাবে প্রশংসিত। আমি জানি দেশের জন্য সুসি তার সর্বোচ্চ শ্রমটা দেবেন।
দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোরিডাভিত্তিক রাজনৈতিক কৌশলবিদ সুসি উইলস এবং তার সহকর্মী ক্রিস লাসিভিতা এবারের নির্বাচনে বেশ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে প্রচার চালানোয় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ট্রাম্প।
বুধবার সকালে বিজয় ভাষণে ট্রাম্প তাদের দুজনকেই ধন্যবাদ জানান তিনি।
সুসির সঙ্গে কাজ করেছেন এমন বেশ কয়েকজন বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি হোয়াইট হাউজে ট্রাম্পকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবেন।
এদিকে চারটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়াটার্স জানিয়েছে, ট্রাম্প ইতোমধ্যেই তার প্রশাসনের শীর্ষ পদের জন্য বিভিন্ন জনের কথা বিবেচনা করছেন। তাদের অনেকেই তার ২০১৭-২০২১ সালের প্রেসিডেন্সি সময়কালের সঙ্গী।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র নিউ ইয়র্কের রিপাবলিকান প্রতিনিধি এলিস স্টেফানিককে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের দূত হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
জার্মানিতে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গ্রেনেল ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ভারপ্রাপ্ত গোয়েন্দা প্রধান ছিলেন। সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের সাক্ষাতের সময়ও তিনি ছিলেন।
ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার বিষয়টিও বিবেচনাধীন রয়েছে।
জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত রিপাবলিকান সিনেটর বিল হ্যাগার্টিকেও ওই পদের জন্য ভাবা হচ্ছে বলে কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে।