রমজান উপলক্ষে খেজুর, ছোলা, ভোজ্যতেল, চিনিসহ নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকে নগদ অর্থ জমা দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
এ বিষয়ে রোববার (১০ নভেম্বর) জারি হবে পরিপত্র।
বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে চালের আমদানিতে শুল্ক বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু কেউ আমদানি করছে না। সরকার চালের দাম কমাতে চায়। কিন্তু কৃষকের কথাও ভাবতে হয়। তাই সামনে চালের দাম খুব বেশি কমবে না।
বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের শুল্ক তুলে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, রোজা পর্যন্ত ব্যাংকগুলো ছোলা, ভোজ্যতেল খেজুরসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে যাতে এলসি মার্জিন না রাখে সে ব্যাপারে রোববার সার্কুলার জারি করা হবে।
এদিকে গত অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শূন্য দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ২৬ শতাংশ। এ বিষয়ে গভর্নর বলেন, গত সরকারের আমলে মূল্যস্ফীতি জোর করে কমিয়ে রাখা হতো। কিন্তু জুলাইয়ের পর থেকে এটা ফ্রি। যার কারণে সঠিক তথ্যই উঠে আসছে।
মূলত গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরের বন্যার প্রভাবে অক্টোবরে দেশের মূল্যস্ফীতি বেড়েছে জানিয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, অক্টোবরে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি আবারো ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। তবে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তিনি বলেন, পণ্যের দাম কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরও সময় লাগবে। ৭ বছর ধরে বেড়ে চলা মূল্যস্ফীতি হঠাৎ করেই কমানো যাবে না। মানুষকে ধৈর্য ধরতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কম আছে। ডলার রেট স্থিতিশীল আছে। সুতরাং মূল্যস্ফীতি কমতে বাধ্য।