বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিমে মাছ ধরার ট্রলারে হামলা করেছে জলদস্যুরা। এসময় এক জেলে নিহত হয়েছে। অপহরণ করা হয়েছে ১৯ জনকে।
বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) সকালে সাগরে মাছ ধরার সময় 'আল্লাহর দয়া' নামের ট্রলারে ডাকাতদল আক্রমণ করে।
নিহত মোহাম্মদ মোকাররম (৪৫) কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ার বাসিন্দা তিনি উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রহিমা বেগমের স্বামী।
ইউপি সদস্য রহিমা বেগম জানান, আজ সকালে তিনি স্বামীর মৃত্যুর খবর পান।
পুলিশ সকাল সোয়া ১০টার দিকে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বলেন, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে ডাকাতি বেড়েছে। এতে জেলেদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
ট্রলারের মালিক ও বাঁশখালীর বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসমাইল জানান, ডাকাতদের হাত থেকে পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোকাররম ট্রলার থেকে সাগরে পড়ে গেলে অন্য একটি ট্রলার তাকে উদ্ধার করে।
তারা তাকে কুতুবদিয়ার মগনামা ঘাটে নিয়ে আসে। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে বাঁশখালীতে তার মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।
ইসমাইল বলেন, ডাকাতরা ট্রলারসহ ১৯ জেলেকে অপহরণ করেছে। বিকেল পর্যন্ত তাদের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, তিনি জানতে পেরেছেন মহেশখালী-সোনাদিয়ার কুখ্যাত ডাকাত দল 'মঞ্জুর বাহিনী' এই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত।
কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান হোসেন, জেলে নিহত ও অন্যদের অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত জেলে কুতুবদিয়ার বাসিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, অন্য জেলেদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।