আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা, এরপরই যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। আগামী বিশ্ব কেমন হবে, কোন দিকে যাবে- তা নির্ধারণে এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্বাভাবিক কারণেই মার্কিন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব।
এদিকে ঐতিহাসিক এ নির্বাচনে জয়ী হতে শেষ মুহূর্তের প্রচার চালিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। শেষ সময়ে এসে ভোটারদের নিজের শিবিরে ভেড়াতে মরিয়া ডেমোক্রেট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমালা হ্যারিস।
এবারের নির্বাচনের সর্বশেষ প্রচারণায় অংশ নিতে ফিলাডেলফিয়ার মঞ্চে বক্তৃতা করেন তিনি। সেখানে সমর্থকদের উদ্দেশে কমলা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে প্রস্তুত আছেন তিনি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য শেষ বক্তৃতার শুরুতেই কমলা তার সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান। বলেন, আমেরিকাকে দেখার জন্য আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছি। আমাদের প্রচারাভিযান আমেরিকার জনগণের উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং স্বপ্নের সাথে যুক্ত হয়েছে। আমরা আশাবাদী এবং আমরা একসাথে যা করতে পারি তা নিয়ে আমরা বেশ উচ্ছ্বসিত।
যুক্তরাষ্ট্রে দশকের পর দশক ধরে চলা রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের এক ঐতিহাসিক সময়ের দ্বারপ্রান্তে আছেন কমলা হ্যারিস। যদি তিনি নির্বাচিত হন তাহলে এবারই প্রথম কোনো নারী প্রেসিডেন্ট পাবে আমেরিকার জনগণ। এর আগে ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ইলেক্টোরাল ভোটে পরাজিত হন প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তার পর নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধেই লড়াই করছেন আরেক ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিস।
তিনি এবার এই আশা করছেন যে, আমেরিকার জনগণ এবার তাকে নির্বাচিত করে এক নয়া ইতিহাসের দ্বার উন্মোচন করবে। কমলা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এক দশকের রাজনীতির পাতা উল্টানোর এক বিশাল সুযোগের কাছাকাছি রয়েছে আমেরিকার জনগণ। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা মনে করেন, তাকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে ভয় ও বিভাজনের রাজনীতির ইতি টানবে জনগণ।
যুক্তরাষ্ট্রে মোট ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে একজন প্রার্থীকে ২৭০টি ভোট পেতে হয়। এই ভোট ২০২৫ সালের ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে গণনা করা হবে। সেদিন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হবেন নতুন প্রেসিডেন্ট। এরপর ২০ জানুয়ারি শপথ নিয়ে পাকাপাকিভাবে হোয়াইট হাউসে বসবেন ট্রাম্প কিংবা কমলা।