৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে। ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা হলেও দীর্ঘদিনেও ফল প্রকাশ হয়নি। আটকে আছে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাও। এ তিন বিসিএসে কেউ প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত পরীক্ষার অপেক্ষায়, কেউ লিখিত পরীক্ষায় টিকে মৌখিক পরীক্ষার অপেক্ষায়। আবার কেউ লিখিত পরীক্ষার ফলের অপেক্ষায়।
সরকারের পট-পরিবর্তনের তিন মাসেও এ তিনটি বিসিএসের কার্যক্রমে দৃশ্যমান কোনো গতি না আসায় হতাশ চাকরিপ্রার্থীরা। সরকারি কর্ম কমিশনও (পিএসসি) আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানাচ্ছে না। এতে উদ্বেগ বাড়ছে প্রার্থীদের।
পিএসসি বলছে, সোহরাব হোসাইনের নেতৃত্বাধীন কমিশন সরে যেতে হবে, এমন ইঙ্গিত পেয়ে সব স্থগিত রেখেছিলেন। তাদের বিদায়ের পর নতুন চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য নিয়োগ হলেও নিয়মের বেড়াজালে সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছিল না।
সম্প্রতি পিএসসিতে আরও ৫ জন সদস্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এতে সব বাধা কেটে গেছে। এখন কমিশনের কাজ চালিয়ে নিতে আর কোনো বাধা নেই বলেও জানান সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
পিএসসির পরীক্ষা (ক্যাডার) শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, আটকে থাকা পরীক্ষাগুলোর বিষয়ে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু নতুন চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন সদস্য ছিলেন। তাদের মাধ্যমে সভার কোরাম পূর্ণ হচ্ছিল না। কোরাম পূরণ হতে কমপক্ষে ছয়য়জন সদস্য প্রয়োজন হয়। এখন চেয়ারম্যানসহ পিএসসিতে সদস্য ১০ জন। ফলে কোরাম পূরণে আর বাধা নেই। এখন সভা করে সিদ্ধান্ত নিলে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।
স্থগিত পরীক্ষাগুলো কবে নাগাদ হতে পারে এমন প্রশ্নে একই শাখার আরেকজন কর্মকর্তা জানান, সভায় সিদ্ধান্ত হলেও প্রেক্ষাপট তুলে প্রস্তাবটা কর্মকর্তারা রাখেন। যদি সামনের বৃহস্পতিবারের মধ্যে সভা করা সম্ভব হয়, তাহলে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ৪৪তম বিসিএসের বাকি প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হতে পার।
তিনি বলেন, ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা জানুয়ারির আগে হয়তো সম্ভব হবে না। তবে ৪৫তম বিসিএসের ফল ডিসেম্বরে হতে পারে। যদিও এগুলো প্রাথমিক ধারণা। পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে সময়, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে জানতে পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আর সদ্য নিয়োগ পাওয়া সচিব ড. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া কে বলেন, আমি মাত্র নিয়োগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হলে সব প্রার্থীকে জানিয়ে দেয়া হবে। পিএসসিতে গতি ফেরাতে বর্তমান কমিশনসহ সবাই সর্বোচ্চটা দিয়েই কাজ করবেন বলে আশা করছি।