তিন বা তার বেশি ম্যাচের টেস্ট সিরিজে কখনও ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হয়নি ভারত। ওয়াংখেড়েতে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাদের ২৫ রানে হারিয়ে সেই ইতিহাসটাই গড়েছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। টেস্টে ভারতীয় দল এর আগেও হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। সেটা ছিল দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ১৯৯৯-২০০০ সালে টেস্ট সিরিজে তাদের ২-০ তে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় দিন ভারত যেভাবে শেষ করেছিল তাতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর আশা ছিল তাদের। কারণ বড় লক্ষ্য দেওয়ার আগেই ধস নামাতে পারে কিউইদের ব্যাটিং লাইন আপে। কিন্তু স্পিন বান্ধব উইকেটে ১৪৭ রানের লক্ষ্যটাকেও মনে হচ্ছিল পাহাড় সমান! ভারত দ্বিতীয় সেশনে খেলতে নেমেই ১২১ রানেই গুটিয়ে গেছে।
৯ উইকেটে ১৭১ রান নিয়ে দিন শুরু করা নিউজিল্যান্ড আর চার রানই যোগ করতে পারে। দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১৭৪ রানে।
মাত্র ১৪৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কিউইদের স্পিন আক্রমণে খেই হারায় ভারতের ইনিংস। ধস নামে লাঞ্চের আগেই। ২৯ রানে হারায় ৫ উইকেট। তখন কিউইদের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন ঋষভ পান্ত। লাঞ্চের আগে দ্রুত গতিতে খেলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। ষষ্ঠ উইকেটে রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে মিলে যোগ করেন ৪২ রান। জাদেজা লাঞ্চের আগে ফিরলে ভাঙে জুটি। পান্ত তার পরও কিউইদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে খেলতে থাকেন। ওয়াশিংটন সুন্দরকে সঙ্গে নিয়ে আরও যোগ করেন ৩৫ রান। শত রান পার করার পর পান্তের প্রতিরোধ ভাঙেন প্যাটেল। ফেরার আগে ৫৭ বলে ৬৪ রানে গ্লাভসবন্দি হয়েছেন ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটার।
ধ্বংসস্তূপে থেকেও রবিচন্দ্রন অশ্বিন-ওয়াশিংটন সুন্দর মিলে আশা জাগাচ্ছিলেন। কিন্তু দলীয় ১২১ রানে ফিলিপসের বলে অশ্বিন গ্লাভসবন্দি হতেই প্রতিরোধ দুর্বল হতে থাকে স্বাগতিকদের। একই ওভারে জোড়া আঘাত হানেন ফিলিপস। পরের বলে আকাশ দীপকে বোল্ড করলে ভারতের ঘুরে দাঁড়ানোর সব আশা শেষ হয়ে যায়। পরের ওভারে প্রথম বলে ওয়াশিংটন সুন্দরকে প্যাটেল বোল্ড করলে ২৯.১ ওভারে ১২১ রানে শেষ হয় ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস।
দুই ইনিংসে ১০৩ রানে ৫ উইকেট ও ৫৭ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা অ্যাজাজ প্যাটেল। সিরিজ সেরা ২৪৪ রান করা উইল ইয়াং।