ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ রোববার (০৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে। এরই মধ্যে জাল-ট্রলার ও ট্রলারের ইঞ্জিন মেরামত শেষ করে মাছ ধরার সব প্রস্তুতি নিয়েছেন ভোলার জেলেরা। মধ্যরাত থেকেই জেলেরা ফের শুরু করবেন মাছ ধরা। মাছ ধরে বিগত দিনের ধারদেনা পরিশোধের আশা তাদের।
মা ইলিশ রক্ষায় গত ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৬টি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। এ সময় নদী ও সাগরে মাছ শিকার, পরিবহন, মজুত, কেনা-বেচা ও বিনিময় নিষিদ্ধ করে মৎস্য অধিদপ্তর।
সরেজমিনে সকাল ভোলার চরফ্যাশনের বিভিন্ন ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, জেলেরা নদীতে যাওয়ার সবশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অনেকে খালের মধ্যে ইঞ্জিন চালু করে ট্রলার এদিক সেদিক চালিয়ে পরীক্ষা করে নিচ্ছেন। বড় বড় ফিশিং ট্রলারগুলো আইস নিয়ে নিচ্ছেন।
জেলেরা জানান, ট্রলার মেরামত, নতুন জাল তৈরি ও পুরনো জাল সেলাইসহ সমুদ্রে মাছ ধরার সব প্রস্তুতি এরইমধ্যে শেষ করা হয়েছে। এরইমধ্যে সাগরে ৮ থেকে ১০ দিন অবস্থান করার মতো খাবারও প্রস্তুত করা হয়েছে।
মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা সফল হয়েছে দাবি করে মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, এবার মাছের উৎপাদন আরও বাড়বে।
প্রতি বছর আশ্বিন মাসের পূর্ণিমার শেষের দিকে গভীর সমুদ্র থেকে নদীর মোহনায় এসে ডিম ছাড়ে মা ইলিশ। সেজন্য ২০০৬ সাল থেকে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন অবরোধ দিয়ে আসছে সরকার। এ সময় সব ধরনের মাছ শিকার, পরিবহন, মজুত, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। এবার প্রশাসনের তৎপরতা বেশি থাকায় উপকূলজুড়ে মাছ ধরা পুরোপুরি বন্ধ ছিল। প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করায় কয়েকটি জায়গায় প্রশাসনের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে।