কয়লাসংকটের কারণে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটেরই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) থেকে এ দুটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে আগামী মাসে আবারও চালুর আশা প্রকাশ করেন কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিচালন) মনোয়ার হোসেন মজুমদার।
তিনি জানান, মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের ইউনিট কমিশনিংয়ের জন্য জাপানের সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে কয়লা আনা হয়। গত আগস্টে জাপানি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়েছে।
প্রকল্পটির দুটি ইউনিটের একটি ২০২৩ সালের জুলাইয়ে, আর অন্যটি ডিসেম্বরে চালু হয় জানিয়ে মনোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এখন পর্যন্ত সুমিতমো করপোরেশনের মাধ্যমে আনা হয় ২২ লাখ ৫ হাজার টন কয়লা। সেই মজুদ পুরোপুরি শেষ হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ১২শ’ মেগাওয়াট। প্রকৌশলী মনোয়ার বলেন, তিন বছর কয়লা সরবরাহের জন্য কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে। কিন্তু সাবেক প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম আজাদ একটি প্রতিষ্ঠানকে বেআইনি সুবিধা দিতে দরপত্র আহ্বান করতে ১০ মাস দেরি করার অভিযোগ উঠে।
ওই অভিযোগে আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত জুলাইয়ে কয়লা আমদানিতে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয়। আদেশটি পরে উচ্চ আদালতে স্থগিত করা হলেও দীর্ঘমেয়াদে কয়লা আমদানি অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।
সব প্রক্রিয়া শেষ করে নভেম্বরের শেষ দিকে কয়লা আমদানি করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, কয়লা এলেই উৎপাদন শুরু হবে।