Published : Friday, 1 November, 2024 at 7:03 PM, Update: 15.11.2024 12:47:37 AM
পণ্য ও সেবার দাম নিয়ন্ত্রণে সঠিক পথেই আছে বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে টাকার প্রবাহে ভারসাম্য রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে সংকোচনশীল হওয়ার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
শুক্রবার (০১ নভেম্বর) জাপানের টোকিওতে রিজিওনাল ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদন নিয়ে ব্রিফিং করে সংস্থাটি। জানায়, মন্দা থেকে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এশিয়া। চড়া মূল্যস্ফীতি থেকে বেরিয়ে আসছে এই অঞ্চল। তাই অনেক দেশে কমবে সুদের হার। তবে দুশ্চিন্তা আছে রফতানি নিয়ে।
বিফ্রিংয়ে আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোর পর থেকেই এশিয়ায় মূল্যস্ফীতি কমছে। তবে এই অঞ্চলে ঋণের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
আইএমএফের এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেন, এশিয়ার অর্থনীতির ওপর দিয়ে অনেক বিপদ গেছে। এসব সামাল দিতে অনেক দেশকে ঋণ নিতে হয়েছে। আমি যদি বিশ্বের সার্বিক ঋণ হিসাব করি, তাহলে এর ২৮ থেকে ৩৫ ভাগই এশিয়ার। এমনকি বৈশ্বিক মন্দার পর চীন ও জাপানের সরকারকে বড় পরিসরে ধার করতে হয়েছে। ফলে এই অঞ্চলে প্রবৃদ্ধির গতি কম।
এ সময় প্রশ্ন আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে। আইএমএফ জানায়, স্থানীয় অর্থনীতিতে একাধিক ধাক্কা লেগেছে। জটিলতা আছে পণ্য সরবরাহে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে বদলাতে হবে কিছু আর্থিক নীতি।
সংস্থাটির এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের সহকারী পরিচালক থমাস হেলব্লিং বলেন, অস্থির সময় পার করেছে বাংলাদেশের রাজনীতি। সেই সাথে যোগ হয়েছে টানা বন্যার ধাক্কা। এর ফলে পণ্য সরবরাহে বাধা পড়েছে। তবে বাংলাদেশে পণ্য ও সেবার দাম ২০২২ সাল থেকে বেশি। তাই আপাতত সংকোচনমূলক মূদ্রানীতির বিকল্প নেই। সাথে বিদেশ থেকে অর্থ লেনদেনে ভারসাম্যহীনতাও আছে। চাইলে বাংলাদেশ যেকোনো উৎস থেকে বাজেট সহায়তা নিতে পারে।
আইএমএফের প্রাক্কলন, চলতি বছর বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। পরের বছর তা কমে দাঁড়াবে ৪ দশমিক ৪ ভাগে।