জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের মধ্যে থেকে প্রতি সপ্তাহে ২০০ পরিবারকে অনুদান দেবে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’।
শুক্রবার (০১ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে অনুদান বিতরণের পরিকল্পনার কথা জানান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
শাহবাগে ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সারজিস বলেন, আমরা আপাতত প্রতি সপ্তাহে ২০০ জন করে শহীদ পরিবারের মাঝে অনুদানের টাকা বা চেক হস্তান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। এর অংশ হিসেবে শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগরভবনে নির্ধারিত ২০০ শহীদ পরিবারের প্রতিটিকে পাঁচ লাখ টাকা করে বিতরণ করা হবে।
এটা সম্পূর্ণ বাংলাদেশের মানুষের টাকা। এর আগে আমরা বিভিন্ন ব্যক্তিপূজা দেখেছি, সংগঠনপূজা দেখেছি। সেগুলো থেকে বের হয়ে এখন যাদের টাকা পাওয়া উচিত তাদেরকে খুঁজে বের করে আমরা টাকাটা দিচ্ছি।
গত জুলাই মাসে শুরু হওয়া সরকার বিরোধী আন্দোলনে ৩৬ দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
ওই সময়ে ৮৭১ জনের মৃত্যুর তথ্য এ পর্যন্ত সংকলিত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস)।
সারজিস আলম বলেন, প্রতি সপ্তাহে আমরা ২০০ জন শহীদ পরিবারের কাছে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পৌঁছে দিতে চাই। শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ৪টি ধাপে ২০০ শহীদ পরিবারের কাছে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেব। সেটার জন্য ২০ জনের একটি টিম কাজ করছে।
কাজটি করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে ঢাকা বিভাগ নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু এখানে শহীদ পরিবারের সংখ্যা আরও বেশি। অবিবাহিত কেউ যদি শহীদ হয়ে থাকেন, সেখানে হিসাবগুলো খুবই সহজ। মায়ের সম্মতি নিয়ে বাবাকে কিংবা বাবার সম্মতি নিয়ে মাকে নমিনি করছি। বিবাহিত শহীদ ভাইদের ক্ষেত্রে স্ত্রী এবং বাবা/মায়ের কোনো একজনকে মিলিয়ে যৌথ নমিনি করে টাকাটা হস্তান্তর করতে পারছি।
“কিন্তু কিছু ব্যতিক্রম কেইস দেখতে পাচ্ছি। শহীদ ভাইয়ের সহধর্মীনীর সঙ্গে বাবা/মায়ের (শ্বশুর/শাশুড়ি) দূরত্ব রয়েছে। এই ধরনের কনফ্লিক্টের ক্ষেত্রে আমরা সেগুলো কিছুদিন পরে টাকাটা হস্তান্তর করতে চাচ্ছি।
জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানে ‘শহীদদের’ পরিবারকে ৫ লাখ এবং আহতদের এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের’ কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায়।