সেই বিকালে এয়ারপোর্ট থেকে রওনা দিয়েছিলেন সাবিনা-মনিকারা। রাস্তার দুই পাশে অনেকেই তাদের অভিবাদন জানিয়েছেন। নির্দিষ্ট রুট দিয়ে বাফুফে ভবনে আসতে তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এই সময়ের পুরোটাই মেয়েরা নানাভাবে মেতে ছিল।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল তিনটায় এয়ারপোর্ট থেকে ছাড়ে চ্যাম্পিয়নদের বহনকারী ছাদখোলা বাসটি। সেসময় সমর্থকরা ফ্লেয়ারের মাধ্যমে রঙিন ধোঁয়া উড়িয়ে সাবিনাদের বরণ করে নেন। বাফুফে ভবনেও ছিল একই চিত্র।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বিকাল সোয়া পাঁচটায় আসেন বাফুফে ভবনে। সাবিনারা আসার পর বাফুফের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স রুমে যান উপদেষ্টা। সেখানে খেলোয়াড়দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। তার সঙ্গে আছেন মন্ত্রণালয় ও এনএসসির কর্মকর্তারা।
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ২টায় ঢাকায় এসে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। ঐতিহাসিক এই অর্জনের পর তাদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তাদের জন্য বিমানবন্দরে ছাদখোলা বাস প্রস্তুত ছিল। তাতে চড়ে শহর প্রদক্ষিণ করে পুরো দল।
বিআরটিসি বাসটি খেলোয়াড়দের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছিল। দুই পাশে চ্যাম্পিয়ন দলের ছবিও স্থাপিত হয়। বাসের মাঝখানে ট্রফি নিয়ে ছিল গ্রুপ ছবি। দুই পাশে দুই টুর্নামেন্ট সেরার ছবি। বাম পাশে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা ও ডান পাশে ছিল সেরা গোলকিপার রুপনা চাকমার ট্রফি নেয়ার মুহূর্ত।
বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এক্সপ্রেসওয়ে, এফডিসি, সাত রাস্তার মোড়, মগবাজার ফ্লাইওভার, কাকরাইল, পল্টন, নটরডেম কলেজ ও শাপলা চত্বর ঘুরে বাফুফে ভবনে থামে বাস।
ঢাকায় বিমানবন্দরে নেমে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের কোচ, অধিনায়কসহ অন্যরা। কথা বলতে এসে তাদের উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। জাতীয় দলের সাবিনা খাতুন টানা দ্বিতীয়বারের মতো অধিনায়ক হয়ে শিরোপা জিতেছেন। নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে এসে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘প্রথমেই ধন্যবাদ দিতে চাই দেশের মানুষকে যারা এই জয়ের জন্য অধীর আগ্রহে ছিলেন। সকলকে খুশি করতে পেরে দলের ও বাফুফের সবাই অনেক আনন্দিত। সর্বপ্রথম ধন্যবাদ দিতে চাই সাবেক প্রেসিডেন্ট কাজী সালাউদ্দিন স্যার ও উইমেন্স কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট তাবিথ আওয়াল স্যার ও নতুন কমিটিকে। সকলের দোয়া ও সমর্থনে আজ এই সফলতা এসেছে।’