লাঞ্চের আগে তাইজুল ইসলামকে নিয়ে দারুণ প্রতিরোধ গড়েছিলেন মুমিনুল হক। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগুচ্ছিলেন তিনি। তবে লাঞ্চের পর আর বেশি এগুতে পারেননি বাঁহাতি ব্যাটার, বাংলাদেশও গুটিয়ে গেছে দেড়শো পেরিয়ে।
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতির পর বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ১৫৯ রানে। ফলোঅন এড়াতেই তখনো বাকি ছিলো ২১৭ রান। দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশকে ফলোঅন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ৪১৬ রানে পিছিয়ে আবার ব্যাট করতে নামবে স্বাগতিক দল।
আগের দিনের ৩৮ রানের ৪ উইকেট নিয়ে খেলতে নিয়ে তৃতীয় দিনের শুরুতে ফের খেই হারায় নাজমুল শান্তর দল। স্কোর বোর্ডে ১০ রান যোগ হতেই বিদায় নেয় আরও ৪ ব্যাটার। দলীয় ৪৬ রানের পর স্কোর বোর্ডে ২ রানের মাঝে সাজঘরে ফেরেন শান্ত, মুশফিক মিরাজ ও অঙ্কন। এর মাঝে রাবাদা একাই নেন ৩ উইকেট।
অধিনায়ক নাজমুল শান্তকে বিদায় করে দিয়ে বাংলাদেশের মিডল অর্ডারে প্রথম আঘাত হানেন রাবাদা। ব্যক্তিগত ৯ ও দলীয় ৪৬ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ডাক মেরে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মুশফিক। পিটারসনের বলে জর্জির তালুবন্দি হন তিনি। এরপর মিরাজ-অঙ্কন দুজনকেই বিদায় করেন রাবাদা। অভিষিক্ত অঙ্কন ফেরেন শূন্য রানে।
অঙ্কনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন তাইজুল। তাকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটি গড়েন মুমিনুল হক। অর্ধশতক তুলে নেন মুমিনুল হক।
৮ উইকেটে ১৩৭ রান নিয়ে লাঞ্চের পর নেমে আরও ১৪ রান যোগ করে ফেরেন মুমিনুল। মুথুসামির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে তার ৮১ রানের ইনিংস সমাপ্ত হয়। এরপর নবম উইকেটে ১০৩ রানের জুটি গড়া তাইজুলও দ্রুত ফিরে যান। কেশব মহারাজকে তার বলেই ক্যাচ দিয়ে ৩০ রানে থামেন তিনি।