অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে আমার দেশ সম্পাদক বলেন, কোনো দল আপনাদের ক্ষমতায় বসায়নি, দেশের ছাত্র-জনতা আপনাদের ক্ষমতায় বসাইছে। কীসের ম্যান্ডেট আর কিসের সংবিধান। জনগণের ওপর কোনো সংবিধান নেই। সমাধান হিসেবে আমি আপনাদের দুটি প্রস্তাব দিতে চাই। সেগুলো হলো, রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিনকে অপসারণ করা ও ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি বানিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের বাদ দিয়ে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি জাতীয় সরকার গঠন করা।
মাহমুদুর রহমান বলেন, সংবিধান আমাদের কোনো অধিকার দিতে পারেনি, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। অনেক শহীদ পরিবার আমার কাছে অভিযোগ করেছেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের নিজ স্বার্থে শহীদদের আত্মত্যাগ কাজে লাগাতে চায়। তাদের ব্যবহার করে তাদের রক্তের ওপর দিয়ে নিজেদের সাম্রাজ্য গড়তে চায়। সেজন্য শহীদদের পরিবারের প্রতি আমার পরামর্শ হচ্ছে তোমরা কারো প্ররোচনায় প্রলুব্ধ হইওনা। নিজেদের ব্যবহার হতে দিও না। তোমাদের রক্তের বিনিময়ে জনগণ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। অতএব এই অর্জনকে বিলিয়ে দেয়া যাবে না।
ড. ইউনুসের উদ্দেশ্যে আমার দেশ সম্পাদক বলেন, জাতীয় সরকার গঠনে যদি রাজনৈতিক দলগুলো এগিয়ে না আসে, তাহলে সংবিধান সাসপেন্ড করে একটা বিপ্লবী সরকার গঠন করুন।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদীর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এহসানুল হক মিলন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, সিঙ্গাপুরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।