চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) ছাত্রাবাসে অবৈধ অনুপ্রবেশ, রুম দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকায় ৭৫ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ১১ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চমেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।
এর আগে চমেকের কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ তদন্তে ১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে প্রতিষ্ঠানটি।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু শিক্ষার্থী সংঘবদ্ধ হয়ে কলেজ ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এর আগেও কিছু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে চমেক এলাকায় সংঘটিত সংঘাতের কারণে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ছাত্রাবাসে অবৈধ অনুপ্রবেশ, অবৈধভাবে রুম দখল, অঙ্গীকার ভঙ্গ, মারধর ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যুক্ত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শাস্তিপ্রাপ্তদের বেশিরভাগই নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। যাদের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। এ কারণে তাদের কয়েকজনকে এর আগে কয়েকবার বহিষ্কার করা হয়েছিল। আজ সোমবার থেকে এই শাস্তি কার্যকর বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তাসলিম উদ্দীন বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৪ জন ইন্টার্ন রয়েছেন। তাদের শাস্তি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করবে। ১২ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী চমেক একাডেমিক কাউন্সিল এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা অনুমোদন করেছে।’
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১১ সেপ্টেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে চমেক কর্তৃপক্ষ। এক মাসের বেশি সময় ধরে অভিযুক্তদের বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে কমিটি।