নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে গোলবন্যায় ভাসিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম সেমিফাইনালে ৭-১ গোলের জয় নিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে লাল-সবুজের মেয়েরা। দলের পক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তহুরা খাতুন। এছাড়া অধিনায়ক সাবিনা খাতুন জোড়া গোল করেছেন। দলের পক্ষে বাকি দুটি গোল করেছেন ঋতুপর্ণা চাকমা ও মাসুরা পারভীন।
রোববার (২৭ অক্টোবর) নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুদল। প্রথমার্ধেই ভুটানের জালে ৫ গোল দেয় লাল সবুজের মেয়েরা। বিপরীতে একটি গোল হজম করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্থে বাংলাদেশ আরও দুটি গোল দেয় ভুটানের জালে। শেষ পর্যন্ত ৭-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলার মেয়েরা।
এই ম্যাচে গোলের সূচনা করেন ঋতুপর্ণা চাকমা, যেটি এসেছে সপ্তম মিনিটে। চোটে পড়া ফরোয়ার্ড শামসুন্নাহার জুনিয়রের জায়গায় একাদশে সুযোগ পাওয়া সাগরিকার কাছ থেকে বল পান তহুরা। সেই বল দারুণভাবে তহুরা দেন ঋতুপর্ণাকে। ঋতু একটু জায়গা বানিয়ে বক্সের কোনা থকে বাঁ পায়ের দারুণ শটে পাঠান জালে।
২-০ হতে পারত ১১ মিনিটে। কিন্তু ঋতুপর্ণার ক্রস থেকে সাগরিকার হেড গোললাইন থেকে সেভ করেন ভুটানের এক ডিফেন্ডার। ১৪ মিনিটে অবশ্য ২-০ হয়েছে ঠিকই। শিউলির কাছ থেকে তহুরা বল পান। বক্সের প্রায় সামনে থেকে শরীরটাকে বাঁকিয়ে একটু বিভ্রান্ত করেন তিনি ভুটানের গোলকিপার সংগীতা মনগেরকে। ভারত ম্যাচে জোড়া গোল করে দলকে জেতানো তহুরা বাকি কাজটা করেছেন বাঁ পায়ের দারুণ শটে।
২৫ মিনিটে সাবিনার প্লেসিং লাগে ভুটানের সাইড পোস্টে। তবে পরক্ষণেই মনিকার গোলমুখে ফেলা বল সহজেই প্লেসিং করেন সাবিনা। টুর্নামেন্টে যেটি তার প্রথম গোল। আগের দিন অসুস্থ থাকায় অনুশীলন করতে না পারা সাবিনার খেলা নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু মাঠে ঠিকই জ্বলে উঠেছেন তিনি।
৩৪ মিনিটে আবারও তহুরা-ঝলক। বাঁ পায়ের চোখধাঁধানো বাঁকানো শটে স্কোরলাইন করেছেন ৪-০। দুই মিনিট পরই ভুটানের গোলকিপারকে কাটিয়ে ফাঁকা পোস্টে বল পাঠিয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের পঞ্চম গোলটি করেন সাবিনা।
দ্বিতীয় গোলটি খাওয়ার পর ভুটানের মেয়েরা কিছুটা মাথা তোলার চেষ্টা করে। বাংলাদেশের রক্ষণেও তারা দুবার বল নিয়ে এসে গোলের পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। কিন্তু ভুটান গোল করবে কী, গোল ঠেকাতেই ব্যস্ত ছিল বেশি। তবে ৪০ মিনিটে একটি গোল শোধ করতে পেরেছে ভুটান। গোল করেছেন ভুটানের স্ট্রাইকার দেকি হাজম।
এরপর ৫-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতির পর ৫৭ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক তুলে নেন তহুরা খাতুন। বাংলাদেশের লিড তখন ৬-১। ৭২ মিনিটে কর্নার থেকে নেয়া কিকে দারুণ এক হেডে দলের সপ্তম গোলটি করেন মাসুরা। পরের ১৮ মিনিটে আর কোনো গোল আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা।