নোয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়া। সকাল থেকে বৃষ্টিতে অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় বাড়ছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। উপকূলজুড়ে বিরাজ করছে আতঙ্ক। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় হেল্প লাইন চালু করেছে জেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০২ মেডিকেল টিম ও ৪৮৬ আশ্রয়কেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, জেলা প্রশাসনের অধীন সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যে কোনো প্রয়োজনে হেল্প লাইন নম্বরে (০১৭০০-৭১৬৬৯৬) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নোয়াখালীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। উপকূলে আট হাজারের অধিক স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মজুদ রয়েছে নগদ টাকা, চাল ও গমসহ শুকনো খাবার।
পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল্লাহ-আল-ফারুক বলেন, দুর্যোগের আগে ও পরে আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো যেনো নিরাপদ থাকে সেই জন্য পুলিশ পাহারায় থাকবে। দুর্যোগকবলিত চার থানায় ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে, সব ধরনের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। উপকূলজুড়ে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।