Published : Wednesday, 23 October, 2024 at 3:42 PM
শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র ইস্যুতে বিতর্ক ও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নিয়ে শেষ পর্যন্ত কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে- এ নিয়েই এখন তীব্র কৌতূহল বিরাজ করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ও বিভিন্ন অঙ্গনে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রপতি তার পদে থাকবেন কি থাকবেন না এটি সাংবিধানিক প্রশ্ন নয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
নাহিদ বলেন, জনগণের চাওয়া বুঝতে পেরেছে সরকার। সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। তাই যৌক্তিক সিদ্ধান্ত আসতে সময় লাগছে। বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ না করারও পরামর্শ দেন তিনি।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা এবং জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে শিগগিরই একটি সিদ্ধান্ত আসবে। কারণ এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু এখন দেশের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা জরুরি। কেউ যেন এটাতে ব্যাঘাত না ঘটায় তা দেখছে সরকার।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে কেউ যাতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি না করে, সে ব্যাপারে জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণকে এ নিয়ে আর বঙ্গভবনের সামনে সমাবেশ করার প্রয়োজন নেই।
তিনি আরও বলেন, জনগণের মেসেজ সরকার পেয়ে গেছে যে, তারা এই রাষ্ট্রপতিকে আর চায় না। যৌক্তিক সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয় সিদ্ধান্ত হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশের জনগণই আর চায় না এই রাষ্ট্রপতিকে। জনগণের মেসেজ সরকার বুঝতে পেরেছে। জনগণকে এ নিয়ে আর বঙ্গভবনের সামনে সমাবেশ করার প্রয়োজন নেই।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং দেশত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।
এদিকে সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনও দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘(পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করার) বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি।’
মূলত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্যের পর থেকে তার পদত্যাগের দাবি তোলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সংগঠনে নেতৃত্বদানকারীরা।