Published : Wednesday, 23 October, 2024 at 3:02 PM
ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় তিনজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচ শ্রমিক আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুর-কাশিমপুর সড়কের বাংলাবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়টি স্বীকার করলেও গুলিবিদ্ধের ঘটনা অস্বীকার করেছে পুলিশ।
শ্রমিকরা জানান, জেনারেশন নেক্সট পোশাক কারখানার শ্রমিকদের তিন মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। আজ (বুধবার) সকালে বকেয়া বেতন ও বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা কারখানাটির সামনে জড়ো হন। পরে জেনারেশন নেক্সটের শ্রমিকরা পাশের সিগমা অ্যাপারেলস, ডি-সান, সুসুকা, জি-ম্যাক্স ও শিনশিন পোশাক কারখানায় গিয়ে শ্রমিকদের বের করে আন্দোলন শুরু করেন।
এ সময় তারা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাঁধা দেন।
এতে আন্দোলনরত শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুলি ছুড়লে তিন শ্রমিক বিদ্ধ হন এবং আহত হন অন্তত দুই শ্রমিক।
নারী ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক এইচ এম আসাফ উদ্দৌলা রিজভী বলেন, মোট চারজনকে আমরা আহত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে পেয়েছি। এর মধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। আরেকজনের তলপেটে ইনজুরি রয়েছে। তা গুলির ইনজুরি কি না আমরা নিশ্চিত না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর এক কর্মকর্তা বলেন, বকেয়া বেতন ভাতার দাবিতে কয়েকদিন যাবত জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনের শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছে। মঙ্গলবার সকালে কারখানাটির শ্রমিকরা অন্যান্য কারখানায় ইট-পাটকেল ছুড়ে শ্রমিকদের বের করে আনার নিয়ে আসছিল। এ সময় ভয় দেখাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার মত কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।
এদিকে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
জেনারেশন নেক্সট পোশাক কারখানার শ্রমিকরা গত সোমবার সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল মোড় এলাকা অবরোধ করে রাখেন। পরে জলকামানের মুখে সড়ক ছাড়তে বাধ্য হন তারা। সড়ক ছেড়ে যাওয়ার সময় সড়কে অন্তত অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে শ্রমিকরা।