Desh Sangbad
Desh Sangbad
শিরোনাম: ■ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দুই উপদেষ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক ■ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন ■ ভয়ঙ্কর রূপে ডেঙ্গু, একদিনে আরও ৭ মৃত্যু ■ সিলেটের মিললো ৮ মিলিয়ন গ্যাসের সন্ধান ■ সেন্টমার্টিন নিয়ে সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত ■ সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর জামিন ■ ৭ ইসরায়েলি গ্রেপ্তার, অভিযোগ ইরানের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তি!
৯ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫৯৮
Published : Sunday, 20 October, 2024 at 3:32 PM

৯ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫৯৮

৯ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫৯৮

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫৪৮৫টি। এতে নিহত হয়েছেন ৫৫৯৮ জন এবং আহত ৯৬০১ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৬৭৭ জন, শিশু ৭২৯ জন।

রোববার (২০ অক্টোবর) বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম এবং সংস্থার নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পরিসংখ্যানে বলা হয়, নয় মাসে ২০৪১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৯২৪ জন, যা মোট নিহতের ৩৪.৩৬ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৭.২১ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১১২১ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২০ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৬৮৮ জন, অর্থাৎ ১২.২৯ শতাংশ।

এই সময়ে ৮৩টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১২৪ জন নিহত, ১২৫ জন আহত এবং ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ২৪৩টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ২২৭ জন নিহত এবং ২২৩ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৯২৪ জন (৩৪.৩৬%), বাসযাত্রী ২৯৩ জন (৫.২৩%), পণ্যবাহী যানবাহনের আরোহী (ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি ইত্যাদি) ৪২০ জন (৭.৫০%), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ আরোহী ২৯৫ জন (৫.২৬%), থ্রি-হুইলার যাত্রী (সিএনজি-ইজিবাইক-অটোরিকশা-অটোভ্যান ইত্যাদি) ১০৯৭ জন (১৯.৫৯%), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-করিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্র-টমটম) ২৭৮ জন (৪.৯৬%) এবং বাইসাইকেল-রিকশা আরোহী ১৭০ জন (৩.০৩%) নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৮৪৯টি (৩৩.৭১%) জাতীয় মহাসড়কে, ২১৩৪টি (৩৮.৯০%) আঞ্চলিক সড়কে, ৭৭১টি (১৪.০৫%) গ্রামীণ সড়কে, ৬৭০টি (১২.২১%) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৬১ টি (১.১১%) সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনাসমূহের ১২০৪টি (২১.৯৫%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২৩৬৯টি (৪৩.১৯%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১১৪৮টি (২০.৯২%) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৬৪৯টি (১১.৮৩%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১১৫টি (২.০৯%) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ১০ হাজার ৬৭৯টি। বাস ১০৯৫, পণ্যবাহী যানবাহন (ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রলি-লরি-ট্রাক্টর-ড্রামট্রাক-সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক ইত্যাদি) ২৪৭২, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ ৫০৯, মোটরসাইকেল ২২১৬, থ্রি-হুইলার ১৭৬১ (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৬৩২ (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্র-টমটম ইত্যাদি), বাইসাইকেল রিকশা ২৩৬ এবং অজ্ঞাত গাড়ি ১৭৫৮টি।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১১৭২টি দুর্ঘটনায় ১৩৬৪ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৩১৯টি দুর্ঘটনায় ২৯৯ জন নিহত হয়েছেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য ২৩ জন, সেনা সদস্য ২ জন, বিজিবি ৬ জন, আনসার সদস্য ৮ জন, গ্রাম পুলিশ ৩ জন, স্কুল-কলেজ-মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ৮৭ জন, প্রকৌশলী ১৭ জন, চিকিৎসক ১১ জন, আইনজীবী ১৩ জন, সাংবাদিক ২৪ জন, কৃষি কর্মকর্তা ২ জন, ভূমি কর্মকর্তা ১ জন, গ্যাস ফিল্ড কর্মকর্তা ১ জন, শ্রম ও কর্মসংস্থান ব্যুরো’র সহকারী পরিচালক ১ জন, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী ৬১ জন, এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারী ৯৬ জন, ঔষধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি ১৩২ জন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ১৮৪ জন, উপজেলা চেয়ারম্যান ১ জন, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য ৩ জন-সহ স্থানীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা ১১৩ জন, হাফেজ ও ইমাম ১৯ জন, বাউল শিল্পী ২ জন, বিদ্যুতের কর্মচারী ২ জন, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক ৪ জন, পরিবহন শ্রমিক নেতা ৫ জন, পোশাক শ্রমিক ৪১ জন, বন প্রহরী ৪ জন, নির্মাণ শ্রমিক ৪৬ জন, দিনমজুর ১৫ জন, বালু শ্রমিক ১৩ জন, ধানকাটা শ্রমিক ৯ জন, চালকল শ্রমিক ৪ জন, সিএনজি মিস্ত্রি ২ জন, হকার ৬ জন, রাজমিস্ত্রি ১৭ জন, কাঠমিস্ত্রি ৯ জন, নিরাপত্তা রক্ষী ১১ জন, সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৪ জন, মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ১৮ জন এবং দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬৮৭ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

দেশে বর্তমানে জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়কের দৈর্ঘ্য ২২ হাজার ৪৭৬.২৮ কিলোমিটার। গ্রামীণ সড়ক প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার কিলোমিটার। দেশব্যাপী এসব সড়কে নানা প্রকার যানবাহন যেমন বেড়েছে, তেমনি যানবাহনের গতিও বেড়েছে। কিন্তু গতি নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিংয়ের জন্য যথেষ্ট মাত্রায় প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে না। ফলে গতির প্রতিযোগিতা হচ্ছে এবং দুর্ঘটনা ঘটছে। ৮৫ শতাংশ দুর্ঘটনার প্রধান কারণ যানবাহনের অতিরিক্ত গতি। যানবাহনের গতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারের উপরে প্রতি ৫ কিলোমিটার বৃদ্ধিতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি ২ থেকে ৪ গুণ বৃদ্ধি পায়।

দেশ সংবাদ/এসএইচ


আপনার মতামত দিন
বগুড়ায় কারখানার আগুণে ক্ষতি ৪৬ কোটি টাকা
বগুড়া প্রতিনিধি
Tuesday, 22 October, 2024
৯ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫৯৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
Sunday, 20 October, 2024
সেপ্টেম্বরে সড়কে ঝরেছে ৪৯৮ প্রাণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
Thursday, 17 October, 2024
মিরসরাইয়ে ট্রাকচাপায় শিশুসহ নিহত ৩
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
Tuesday, 15 October, 2024
ফরিদপুরে দুই বাসের সংঘর্ষ, নিহত ৫
ফরিদপুর প্রতিনিধি
Tuesday, 15 October, 2024
লক্ষ্মীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩, আহত ২০
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
Monday, 14 October, 2024
আরো খবর
সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর >>
https://deshsangbad.com/ad/1699508455_1491666999_th.jpg
সর্বাধিক পঠিত
ফেসবুকে আমরা
সম্পাদক
এফ. হোসাইন
উপদেষ্টা সম্পাদক
ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা
ঠিকানা
৮০২ ভিআইপি রোড, কাকরাইল
ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
Developed & Maintenance by i2soft
যোগাযোগ
ফোন: +৮৮ ০২ ৪৮৩১১১০১-২
মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৩ ৬০১৭২৯
ইমেইল: [email protected]
up