দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আসতে কতদিন লাগবে তা এখনই বলা যাবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে এই টাকা পাচার হয়েছে। তা ফেরত আসতে সময়তো লাগবেই।
রোববার (২০ অক্টোবর) সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে টাস্কফোর্স কাজ করছে। এ জন্য আলাদা কমিশন গঠনের প্রয়োজন নেই। অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ জন্য কারিগরি সহায়তা দরকার। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ওয়াশিংটনে আলোচনা করবেন।
বাজারে স্বস্তি ফেরাতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যাগে কাজ করছে উল্লেখ করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, টিসিবি, ওএমএস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কাজ করছে। এর সাথে বেশ কিছু বেসরকারি উদ্যোগও আছে, যা আমরা স্বাগত জানিয়েছি।
ডিমের মতো সবজিসহ অন্য পণ্যের দামেও স্বস্তি আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রির আওতা আরও বাড়ানো হবে। ঢাকার বাইরেও টিসিবির পণ্য বিক্রি বাড়ানো হবে।
এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনতে বিদ্যমান টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি জারি করা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনা ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গঠিত আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স সরকার পুনর্গঠন করেছে।
পুনর্গঠিত টাস্কফোর্সের সভাপতি করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরকে। এতে সদস্য হিসেবে মনোনীত হবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন, অপরাধ তদন্ত বিভাগ, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের একজন করে উপযুক্ত প্রতিনিধি।