মধ্যপ্রাচ্যের কসাই খ্যাত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বলে দাবি করা হলেও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি তেল আবিব।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) এ হামলা চালানো হয় বলে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। খবর আলজাজিরার।
টাইমস অফ ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকালে লেবানন থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে তিনটি ড্রোন ছোড়া হয়। এরমধ্যে একটি ড্রোন দক্ষিণ হাইফার উপকূলীয় শহর সিজারিয়াতে নেতানিয়াহুর ব্যক্তিগত বাসভবনে আঘাত হানে। হামলার সময় নেতানিয়াহু, তার স্ত্রী এবং পরিবারের লোকজন বাড়িতে ছিলো না।
লেবাননের আল-মায়াদিন নিউজ চ্যানেল আইডিএফ'কে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, তিনটি ড্রোনের মধ্যে দুটি ড্রোন শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে এবং আটকানো গেছে। তবে তৃতীয় ড্রোনটি নেতানিয়াহুর বাসভবনে নির্ভুলভাবে আঘাত হেনেছে। ড্রোনটি আঘাত হানার আগে প্রায় একঘণ্টা ধরে ওই বাসভবনের আশপাশে ঘোরাফেরা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ড্রোনটি আঘাত হানার পর সেখানে বড় ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
হামলার পরপরই পুলিশ ও আইডিএফ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এসময় তেল আবিব ও গিলিলত সামরিক ঘাঁটিতে সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে ওঠে। তবে আইডিএফ পরবর্তীতে জানায়, ড্রোনগুলো গিলিলত ঘাঁটি এলাকায় আসেনি।
এর আগে শুক্রবার দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযানের নতুন ধাপ শুরু করার ঘোষণা দেয় হিজবুল্লাহ।
হিজবুল্লাহর এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিরোধ যুদ্ধের সর্বোচ্চ কমান্ড থেকে দেয়া নির্দেশনার ভিত্তিতে ইসরায়েলবিরোধী লড়াইয়ের দ্বিতীয় ধাপের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন ধাপের লড়াই দৃশ্যমান হবে এবং এর সাথে সম্পর্কযুক্ত ঘটনাগুলো দেখা যাবে।
গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ আগ্রাসনে ৪২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ।
চলমান এ গণহত্যার প্রতিবাদে গেলো বছর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে হিজবুল্লাহ। এর জেরেই লেবাননের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে প্রায় দুই মাস ধরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এসব হামলায় নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে।