সরকার পতনের পর ছিলেন আত্মগোপনে। এরপর ভার্সিটি পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর তারা পরীক্ষা দিতে এসেছেন। তাতেই কাল হলো তাদের। তারা হলেন -সমাজকর্ম বিভাগে শিক্ষার্থীও বেগম রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলফি শাহরিন আরিয়ানা এবং আইবিএ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও আইবিএ অনুষদ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত রায়হান।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) পরীক্ষার উদ্দেশ্যে তারা বিভাগে এলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের সাঙ্গে পরীক্ষা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তাদের প্রক্টর দফতরের মাধ্যমে মতিহার থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আটক সৈকত রায়হান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। আর আলফি শারিন আরিয়ানা আন্দোলনরত মেয়ে শিক্ষার্থীদের তালিকা করে শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের কাছে পাঠাতেন এবং হুমকি দিতেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, পুলিশ গতকাল দুজনকে নিয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে বলে জেনেছি। মামলা অনুযায়ী বিষয়টি প্রশাসন দেখবে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মালেক জানান, গতকাল সন্ধ্যায় দুজনকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের নামে মামলা আছে। আরেকজনের নামে মামলার জন্য অভিযোগকারীরা পর্যালোচনা করছেন।