মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২১ অক্টোবর। সেই ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্যারিয়ার থেকে অবসর নেয়ার কথা ছিল সাকিব আল হাসানের। সেজন্য তাকে দলেও রাখা হয়। কিন্তু এই মুহূর্তে দেশে ফেরা হচ্ছে না বিশ্বসেরা এই ক্রিকেটারের। তাই তার পরিবর্তে হাসান মুরাদকে দলে নিয়েছে বিসিবি।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
জাতীয় দলের হয়ে এর আগে কখনো টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়নি মুরাদের। দেশের জার্সি গায়ে জড়িয়ে খেলেছেন কেবল দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। সেখানে তেমন সাফল্যের দেখা পাননি এই স্পিনার। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে মিরপুর টেস্টের একাদশে দেখা যেতে পারে তাকে।
এর আগে গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলার উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাইয়ে এসেছিলেন সাকিব। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে সেখান থেকে তার রওনা দেয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের উদ্দেশে। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় শেষ মুহূর্তে তাকে ফ্লাইট বাতিল করার পরামর্শ দিয়েছে বিসিবি।
সাকিবকে দেশে ফিরতে নিরুৎসাহিত করার কারণ নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, আমি নিজেও চেয়েছি, সাকিব আল হাসানের মতো একজন ক্রিকেটার দেশের মাটিতে অবসর নিক। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, প্রথম দিকেই বলেছি সাকিব আল হাসানের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে জনমনে ক্ষোভ রয়েছে; যা স্বাভাবিক। রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করাসহ জনমনের ক্ষোভ নিরসনে তিনি ফেসবুক পোস্ট দিলেও, সাম্প্রতিক প্রতিবাদে প্রতীয়মান হয়েছে যে তা যথেষ্ট ছিল না।
তিনি আরও বলেন, যারা প্রতিবাদ করছে তাদেরও তা করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সাউথ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের মধ্যকার সিরিজে কোনোপ্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতেই আপাতত দেশে খেলতে আসার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করে বিসিবিকে পরামর্শ দিতে হয়েছে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার আশু ব্যবস্থা হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে সকলেরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত বলে মনে করি। কোনো অভিযোগ থাকলে আইনি প্রক্রিয়ার আশ্রয় নিয়েই তার সমাধান খোঁজা যেতে পারে।