Published : Wednesday, 16 October, 2024 at 6:22 PM
বর্ষীয়ান রাজনীতিক, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর জানাজা আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রয়াত মতিয়া চৌধুরীর ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্বামী প্রয়াত সাংবাদিক বজলুর রহমানের কবরের পাশে শায়িত করা হবে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
প্রসঙ্গত, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
ছয়বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরীর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩০ জুন, পিরোজপুরে। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিয়ে হয় তার।
ইডেন কলেজে পড়ার সময় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া মতিয়া চৌধুরী ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৬৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন। আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে আলোচিত মতিয়া চৌধুরী পরে আওয়ামী লীগ যোগ দেন।
স্বামীর জন্মস্থানের সুবাদে মতিয়া চৌধুরী শেরপুর-২ (নকলা ও নালিতাবাড়ী) আসন থেকে নির্বাচন করতেন। এই আসন থেকেই ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হন মতিয়া চৌধুরী। সপ্তম জাতীয় সংসদেও একই আসন থেকে আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
এরপর আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নবম জাতীয় সংসদ থেকে সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদেরও সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন মতিয়া চৌধুরী।
জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হওয়া মতিয়া চৌধুরীকে ১৯৯৬ সালে প্রথম মন্ত্রিসভায়ই সদস্য করেন শেখ হাসিনা, দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
এরপর ২০০৯ ও ২০১৪ সালেও আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভায় একই দায়িত্ব পান তিনি।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন দলের তৎকালীন উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মতিয়া চৌধুরীকে সংসদের উপনেতা করা হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদেও তিনি ক্ষমতাসীন দলের উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন।