৭টি বিষয় ছাড়া বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা না হলেও এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ। তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা গত বছর থেকে এবার ৫৩ হাজার ৩১৬ জন বেড়েছে। সাবজেক্ট ম্যাপিংয় করে ফল প্রকাশের কারণে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার কিছুটা আগেই স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ওয়েবসাইটে একযোগে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। তাতে ফলাফলের এমন চিত্র ফুটে উঠে।
তপন কুমার সরকার বলেন, এ বছর ৯ হাজার ১৯৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।
তিনি আরও বলেন, এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৭৬ জন। আলিমে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৬১৩ জন। ভকেশনাল/বিএস/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পাসের হার ৮৮ দশমিক ৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৯২২ জন।
বোর্ড চেয়ারম্যান জানান, অংশগ্রহণকারী ৬ লাখ ৬৬ হাজার ১৩ জন ছাত্রের মধ্যে ৫ লাখ ৩ হাজার ৫৯৫ জন ছাত্র উত্তীর্ণ হয়েছেন। ছাত্রদের পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন। ৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৫ জন অংশগ্রহণকারী ছাত্রীর মধ্যে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৭১৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। ছাত্রীদের পাসের হার ৭৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৮০ হাজার ৯৩৩ জন।
এ বছর সকল শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রী ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি পাস করেছে। একই সঙ্গে ১৫ হাজার ৯৫৫ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
২০২৩ সালে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ছিল ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। এ বছর জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।
২০০১ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করতেন। তবে এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তা করছেন না বলে বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। স্ব স্ব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরাই ফল প্রকাশ করেন।
এবার ১১টি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে স্থগিত হওয়ার আগে ছয় থেকে সাতটি পরীক্ষা হয়েছিল। বাকি বিষয়গুলোর লিখিত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা বাকি ছিল। কয়েক দফা স্থগিত হওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষাগুলো শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ২০ আগস্ট শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে বাকি পরীক্ষা বাতিল করে সরকার।