আর মাত্র এক সপ্তাহ পর মাঠে গড়াবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। তবে এই সিরিজের প্রথম ম্যাচ দিয়ে লাল-বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তবে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হওয়ায় তার দেশে ফেরা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই এক পোস্টের মাধ্যমে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করলেও, তা মন গলাতে পারেনি দর্শকদের। তাই মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সাকিব বিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার ছাত্র-যুবারা। গত দুই দিন সাকিব বিরোধী স্লোগানে মুখরিত ছিল হোম অব ক্রিকেটের চারপাশ।
এই মুহূর্তে সাকিব আসলে দেশে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়েও শঙ্কা জেগেছে। তবে এবার সাকিবের নিরাপত্তা এবং দেশে ফেরা নিয়ে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করতে এসেছিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের বিপক্ষে সাম্প্রতিক দেয়াল লিখন নিয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, একজন ক্রিকেটার তিনি খেলবেন এবং তিনি বাংলাদেশের নাগরিক, আসার ক্ষেত্রে তো কোনো বাধা আমি দেখি না। তবে যেটা দেয়াল লিখনের কথা বলছেন বা সোশাল মিডিয়ায় কিছু দেখেছি, এটা তো আসলে আবেগের ব্যাপার।
‘তাদেরও ওই অধিকার আছে। গণতান্ত্রিক দেশ, সাংবাদিক অধিকার যেকোনো ধরনের মুভমেন্ট বা যেকোনো কিছু করার। তবে এক্ষেত্রে আমার চেষ্টা থাকবে কারও নিরাপত্তাকে যেন হুমকির মুখে না ফেলি।’
সাকিবের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রয়েছে। তাই দেশে ফেরার আগে সরকারের পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন, তিনি যাতে দেশে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার সময় কোনো সমস্যায় না পড়তে হয়।
তাই সাকিবকে আইনগতভাবে কীভাবে সাকিবকে সহযোগিতা করা হবে এই বিষয়েও প্রশ্ন করা হয় আসিফ মাহমুদকে। জবাবে তিনি বলেন, যদি আইনগত কোনো বিষয় থাকে, আইন তো আইনের গতিতে চলে। এ বিষয়ে তো আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। তবে নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।
‘যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকা আসবে, আমাদের পরিবেশটাও ভালো রাখতে হবে। না হলে বাইরের দেশগুলো বাংলাদেশে খেলতে আসতে নিরাপত্তার অভাবটা অনুভব করবে।’
তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদেরও কথা হয়েছে। আসিফ নজরুল স্যার ইতোমধ্যে বলেছেন সংশ্লিষ্টতা না পেলে প্রাথমিক তদন্তেই আসলে যে মামলা হয়েছে হত্যা মামলা। ওখান থেকে নাম বাদ পড়ে যাবে।
তবে সাকিবের দেশে ফেরা ও খেলা নিয়ে তেমন সমস্যা দেখছেন না ক্রীড়া উপদেষ্টা। তার ভাষ্য, দেশে আসা কিংবা বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা তো থাকার কথা না। আমি যতটুকু জানি। আর আইনের বিষয়টা আইন মন্ত্রণালয় ব্যাখ্যা করতে পারবে। আমি বিশেষজ্ঞও না কিংবা আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও না।
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখার কথা রয়েছে প্রোটিয়াদের। একই সময় দেশে ফিরতে পারেন সাকিব আল হাসান। সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলার কথা রয়েছে তার।