হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারতীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতের বাঙালিদের ইলিশের স্বাদ দিতে শর্তসাপেক্ষে দুই হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল অন্তবর্তী সরকার। সব কিছু ঠিক রেখে বেনাপোল দিয়ে গেলো কয়েদিনে মাত্র ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিংশ ভারতে গেছে।
এবার সরকারের দেয়া রপ্তানি আদেশের মাত্র ২২ শতাংশ ইলিশ ভারতে পৌঁচেছে। সময়স্বল্পতা, বাজারে ইলিশ সংকট ও অস্বাভাবিকভাবে মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ইলিশ রপ্তানি করতে পারেননি।
রোববার (১৩ অক্টোবর) ভোর থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ রপ্তানিকারককে দুই হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানিতে ছাড়পত্র দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ মেট্রিক টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়।
২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর রাত পর্যন্ত ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। যার মূল্য ৫৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৬৩ কোটি ৯৬ লাখ।
এদিকে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ এই দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান ছাড় করানো হয়।
১২ দিনে এ বন্দর দিয়ে ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০টি প্রতিষ্ঠান রপ্তানি করতে পেরেছে। ২৯টি প্রতিষ্ঠান কোনো ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে চার হাজার মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এর বিপরীতে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ১ হাজার ৩৭৬ টন। এবারও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
প্রতিবারই একশ্রেণির ব্যবসায়ী রপ্তানির অনুমতি পেলেও ইলিশ রপ্তানি করেন না। তারাই আবার পরের বছর অনুমতি পেয়ে যান। জবাবদিহি না থাকায় প্রতিবছর এ ঘটনা ঘটলেও দেখার কেউ নেই।