বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ধর্মঘট পালন করছেন যুক্তরাষ্ট্রের উড়োজাহাজ কোম্পানি বোয়িংয়ের ৩৩ হাজার শ্রমিক। সেই চাপে বিপর্যস্ত হয়ে মোট জনবলের ১০ শতাংশ বা ১৭ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করতে যাচ্ছে বোয়িং।
বোয়িংয়ের প্রধান নির্বাহী কেলি অর্টবার্গ কর্মীদের কাছে পাঠানো এক ইমেইলে বলেছেন, ‘নির্বাহী, ব্যবস্থাপক এবং কর্মী’, সবার চাকরিই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সামনে মাসগুলো কর্মী সংখ্যা কমিয়ে আনবে প্রতিষ্ঠানটি। যা আগামী সপ্তাহে আরও বিস্তারিত পরিসরে জানানো হবে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি তার অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন শাখার লোকসানের বিষয়ে কর্মীদের সতর্ক করার পাশাপাশি ৭৭৭এক্স মডেলের উড়োজাহাজ সরবরাহের তারিখ পেছানোর কথা জানিয়েছে।
যেখানে বলা হয়েছে, ফ্লাইট পরীক্ষা স্থগিত থাকার পাশাপাশি এখন কাজ বন্ধ থাকায় ৭৭৭ এক্স মডেলের উড়োজাহাজ সরবরাহে বিলম্ব ঘটবে। আমরা এখন আশা করছি, ২০২৬ সালে গ্রাহকদের প্রথম ডেলিভারি দিতে পারব।
কর্মী ছাঁটাইয়ের কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণ হিসেবে অর্টবার্গ ইমেইলে বলেন, আমাদের ব্যবসার অবস্থা এবং আমাদের ভবিষ্যৎ পুনরুদ্ধারের জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এদিকে বৈশ্বিক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি এসঅ্যান্ডপি বোয়িংকে ‘ক্রেডিটওয়াচে’ রেখেছে। যার মানে ধর্মঘট চলতে থাকলে উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারক কোম্পানিটির রেটিং কমে যেতে পারে।