Published : Friday, 11 October, 2024 at 12:34 PM, Update: 15.11.2024 12:49:37 AM
বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ৩ ধাপ পেছাল বাংলাদেশ। স্কোরে উন্নতি করলেও অন্য দেশগুলো থেকে পিছিয়ে পরেছে বাংলাদেশ। গত বছর ১৯ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮১তম।
তবে চলতি বছর ১২৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪তম, স্কোর ১৯ দশমিক ৪।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (বিশ্ব ক্ষুধা সূচক) ২০২৪ প্রকাশিত হয়। প্রতিবছর আয়ারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও জার্মানভিত্তিক ভেল্ট হ্যুঙ্গার হিলফে যৌথভাবে এই সূচক প্রকাশ করে।
সূচক বলছে, বাংলাদেশে ক্ষুধার মাত্রা মধ্যম পর্যায়ে। তবে এখনও ১১ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ অপুষ্টির শিকার। আর ২ দশমিক ৯ শতাংশ শিশু তার পঞ্চম জন্মদিনের আগেই মৃত্যুবরণ করে।
অপুষ্টির কারণে ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুর বয়স অনুপাতে উচ্চতা বাড়ছে না। এছাড়া ১১ শতাংশ ৫ বছরের কমবয়সি শিশুর উচ্চতা অনুযায়ী ওজন বাড়ছে না বলেও উল্লেখ করা হয় সূচকে।
একটি দেশে অপুষ্টির মাত্রা, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন, পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের বয়স অনুযায়ী কম উচ্চতা এবং শিশুমৃত্যুর হার হিসাব করে ক্ষুধার মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বৈশ্বিক, আঞ্চলিক বা জাতীয়-যেকোনো পর্যায়ে ক্ষুধার মাত্রা নির্ণয় করতে এই সূচকগুলো ব্যবহার করা হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৫৬তম। নেপালের অবস্থান ৬৮তম। এরপরেই রয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের অবস্থান ১০৫ আর পাকিস্তানের অবস্থান ১০৯তম।
এ বছরের ক্ষুধা সূচক বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষুধার মাত্র গুরুতর কারণ এই অঞ্চলে রয়েছে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অপুষ্টি। দক্ষিণ এশিয়ার ২৮২ মিলিয়ন মানুষ অপুষ্টির মধ্যে আছে।
বিশ্বের ৬টি দেশে বুরুন্ডি, শাদ, মাদাগাস্কার, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান ও ইয়েমেনে ক্ষুধার মাত্রা উদ্বেগজনক। ৩৬টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা রয়েছে গুরুতর পর্যায়ে। ২২টি দেশে ক্ষুধার মাত্রা একেবারেই নিম্ন পর্যায়ে আছে।