আরব উপসাগরীয় কুয়েত, কাতার ও সৌদি আরবসহ ছয়টি দেশকে হুমকি দিয়েছে ইরান। এই ছয় দেশ যদি তাদের আকাশসীমা বা সামরিক ঘাঁটি ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেয় তার জবাব দেবে তেহরান। দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইরানি ঐ কর্মকর্তা বলেন, ইরান পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, তেহরানের বিরুদ্ধে পারস্য উপসাগরীয় কোনো দেশের যে কোনো পদক্ষেপ, তা আকাশসীমা বা সামরিক ঘাঁটি ব্যবহার করতে দেওয়া হোক তা অগ্রহণযোগ্য হবে। তেহরান এটি পুরো গোষ্ঠীর নেয়া পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করবে। আর সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ কর্মকর্তা বলেন, তেহরানের বার্তায় আঞ্চলিক ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে স্থিতিশীলতা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া এটি স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, ইরানের বিরুদ্ধে কোনো আঞ্চলিক দেশের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেওয়াসহ ইসরাইলকে কোনো সাহায্য করা অগ্রহণযোগ্য।
উপসাগরীয় ছয়টি দেশ হলো ওমান, বাহরাইন, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। উপসাগরীয় এই ছয়টি দেশে ইসরাইলের পরমমিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি ও সেনা রয়েছে।
অন্যদিকে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ‘প্রত্যাখ্যান’ করতে লেবাননের মানুষের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি এর মধ্য দিয়ে লেবাননের মানুষকে ‘গাজার মতো’ ধ্বংসযজ্ঞ ও দুর্ভোগ এড়াতে বলেছেন। দক্ষিণ-পশ্চিম লেবাননের নতুন অঞ্চলে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে চলমান স্থল অভিযান এগিয়ে নিতে আরো হাজারো সেনা পাঠিয়েছে ইসরাইল।
এরপর মঙ্গলবার লেবাননের মানুষের প্রতি এমন সতর্কবার্তা দিলেন নেতানিয়াহু। তিনি দাবি করেন, ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর হামলায় হিজবুল্লাহ প্রয়াত প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি নিহত হয়েছেন। তবে পরে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানায়, হিজবুল্লাহ নেতা হাশেম সাফিউদ্দিন নিহত হয়েছেন কিনা, সেই বিষয়ে তাদের কাছে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই।
আবার ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফায় মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো রকেট ছুড়েছেন হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। এতে ১২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।