দুই মাস আগে নাটকীয় পরিস্থিতিতে ভারতে যাওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর নাকচ করে দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ হয়। যেখানে বলা হয়, ভারত ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন শেখ হাসিনা। কয়েকটি খবরে এমনও দাবি করা হয় যে, আমিরাতের আজমানে নারায়ণগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের মালিকানাধীন বাড়িতে এখন অবস্থান করছেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করতে ভারত সংবাদদাতা কথা বলেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে। ভারতীয় কর্মকর্তারা এসব খবরকে ‘ফেইক নিউজ’ বলে উড়িয়ে দেন। বলেন, শেখ হাসিনা এখনও ভারতেই অবস্থান করছেন।
দিল্লির সাংবাদিক শুভজ্যোতি ঘোষ জানান, তিনি গত ৪৮ ঘণ্টায় বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তারা প্রত্যেকে নিশ্চিত করেছেন ‘শেখ হাসিনা এখানে গত সপ্তাহে যেভাবে ছিলেন, এই সপ্তাহেও ঠিক একইভাবেই আছেন!
শেখ হাসিনা দিল্লিতে ঠিক কোথায় অবস্থান করছেন তা ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও জানায়নি। তবে আগের স্থান যে গত কয়েক দিনের ভেতরে মোটেও পাল্টায়নি, সে কথাও নিশ্চিত করেছে।
দেশটির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এ-ও বলেছেন, যে পরিস্থিতিতেই আসুন না কেন, শেখ হাসিনা এই মুহূর্তে ভারতের সম্মানিত অতিথি। তিনি যদি পরে তৃতীয় কোনো দেশে যানও, সেটা নিয়ে আমাদের লুকোচুরি করার তো কোনো কারণ নেই!
তাই শেখ হাসিনা গোপনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো কোনো দেশে পাড়ি দিয়েছেন, এসব ‘খবর’কে উপেক্ষা করতেই পরামর্শ দিচ্ছেন কর্মকর্তারা।
শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে গত কয়েক দিনে নানান আলোচনা চলছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা বক্তব্যের বিষয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে।
জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ওনার অবস্থান সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা দিল্লিতে খোঁজ করেছি, আমিরাতেও খোঁজ করেছি, কনফারমেশন অফিসিয়ালি কেউ দিতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, আপনারাও যেমন দেখেছেন, আমরাও দেখেছি উনি আজমানে সম্ভবত গেছেন। কিন্তু এটা রিকনফার্ম করার চেষ্টা করেও আমরা সফল হইনি।