চলতি বছর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন জন হপফিল্ড ও জিওফ্রে হিনটন। বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। নোবেল প্রাইজের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জন হপফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এবং জিওফ্রে হিনটন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টোর অধ্যাপক।
নোবেল পুরস্কার সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কৃত্রিম ‘নিউরাল নেটওয়ার্কের সাহায্যে মেশিন লার্নিংকে সক্ষম করে তোলার’ মৌলিক আবিষ্কারের জন্য তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। হপফিল্ড একটি কাঠামো তৈরি করেছেন যা তথ্য সংরক্ষণ এবং রিকনস্ট্রাক্ট বা ‘পুনর্গঠন’ করতে পারে। হিনটন এমন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, যা স্বাধীনভাবে ডেটার বৈশিষ্ট্যগুলো শনাক্ত করতে পারে। বর্তমানে বড় বড় কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কে এই আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এর আগে, ২০২৩ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান—যুক্তরাষ্ট্রের পিয়েরে অগস্তিনি, জার্মানির ফেরেন্স ক্রাউস এবং সুইডেনের অ্যানে হুইলিয়ে। আলোর স্বল্পতম স্পন্দন তৈরি করে অতি সংক্ষিপ্ত মুহূর্তকে বন্দী করার কৌশল নিয়ে গবেষণা করার স্বীকৃতি হিসেবে তাদের নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এর আগে ২০২২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল জেতেন তিনজন। তারা হলেন অ্যালাইন আসপেক্ট, জন এফ ক্লসার ও আন্তন জেলিঙ্গার। ইনট্যাঙ্গলড ফোটনস, ভায়োলেশন অব বেল ইনইকুয়ালিটিস প্রতিষ্ঠা এবং কোয়ান্টাম ইনফরমেশন সায়েন্সে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। তাদের আবিষ্কার কোয়ান্টাম ইনফরমেশন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। তিনজনের মধ্যে বিজ্ঞানী অ্যালাইন আসপেক্ট ফরাসি, জন এফ ক্লসার মার্কিন এবং আন্তন জেলিঙ্গার অস্ট্রিয়ার নাগরিক।