বেড়েছে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম। লিটারপ্রতি সয়াবিনের দাম বেড়েছে ১০ টাকা আর লিটারপ্রতি পাম তেলের দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ১৫ টাকা। তবে বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম স্থির রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে কোম্পানিগুলো দেশে বাড়িয়েছে। সেই সঙ্গে সরবরাহ কম থাকার কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে চাহিদার তুলনাই ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেশি ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে। এই অর্থবছরে অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে ২৩ লাখ টন। দেশে উৎপাদন হয় ২ লাখ ৫০ হাজার টন। আর দেশে বছরে মোট ভোজ্যতেলের চাহিদা ২২ লাখ টন।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তদারকির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এদিন ১৫১ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল। গত মাসে যা ১৪৫ থেকে ১৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। শনিবার ১৩৭ টাকা থেকে ১৪২ টাকা বিক্রি হয়েছে প্রতি পাম তেল, গত মাসে যা বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা থেকে ১৩৫ টাকায়।
সিটি, মেঘনা, এস আলম, টিকে, শবনম, বসুন্ধরা ও বাটারফ্লাই গ্রুপসহ দেশের বাজারে হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানি ভোজ্যতেল সরবরাহ করে। আগে এস আলম গ্রুপ পণ্য সরবরাহ না করেই অপেক্ষাকৃত কম দামে এসও (সরবরাহ আদেশ) বিক্রি করত। এখন কোম্পানিটির আমদানির পরিমাণ কমে গেছে।
তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) রেদোয়ানুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববাজারে পাম তেলের দামে রেকর্ড হয়েছে। গত ২০ বছরের ইতিহাসে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলকে টপকে গেছে পাম তেলের দাম। বিশ্ববাজারে প্রতি টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ ডলারে এবং পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১২৫ ডলারে।’
তিনি বলেন, ‘সরবরাহ সংকট হলে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পণ্যের সরবরাহ বেশি থাকলে দাম বাড়ার কোনও সুযোগ থাকে না।’