পাকিস্তানে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের। সেই সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের ওপর চালানো ব্যাপক ধরপাকড়। এখন পর্যন্ত পিটিআই’র অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে পিটিআই’র কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের দুই বোনও রয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাজধানী ইসলামাবাদে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিন সকাল থেকে ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটসেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষ থামানো গেলেও ইসলামাবাদের উত্তেজনা ছড়িয়েছে লাহোর, রাওয়ালপিন্ডিসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে।
শনিবার (০৫ অক্টোবর) দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমরান খানের আহ্বানে শুক্রবার ইসলামাবাদের ডি-চক এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল তার পিটিআই। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় পিটিআইয়ের সমর্থকরা জড়ো হন। এদিকে সমাবেশ সফল না করতে দিতে ইসলামাবাদের এসব জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করে সরকার। কিন্তু তা ভঙ্গ করে সমবেত হন ইমরানের সমর্থকরা। তবে পুলিশের বাধায় বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ওই সময় বিক্ষোভের জন্য জড়ো হওয়ার পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়. গতকালের সংঘর্ষের রেশ এসেছে পড়েছে পাঞ্জাবের লাহোরে। আজ আজ শনিবার লাহোরের মিনার-ই-পাকিস্তানে জড়ো হওয়ার কথা ইমরানের সমর্থকদের। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সেখানেও সেনাবাহিনীকে মোতায়েন করেছে সরকার।
পাকিস্তানের আরেক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, মিনার-ই-পাকিস্তানের দিকে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তায় বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।
এর আগে কর্মী-সমর্থকদের লাহোরের সমাবেশ সফল করতে অনুরোধ জানান কারাবন্দি ইমরান খান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি পুলিশি বাধায় লাহোরে পৌঁছাতে না পারেন তাহলে যেন সবাই যার যার শহরেই অবস্থান নেন।
এদিকে শুক্রবারের ঘটনায় এখনও উত্তপ্ত ইসলামাবাদ। পার্শ্ববর্তী রাওয়ালপিন্ডিও উত্তপ্ত হয়ে আছে। এসবের মধ্যে সেখানে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া বড় বড় সড়কগুলো কনটেইনার দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।