প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনী রোড ম্যাপ চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়।
প্রায় এক ঘণ্টা এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি। নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন স্থগিত করে সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে ইসি পুনর্গঠন করা উচিত বলে জানিয়েছি।
বিতর্কিত ব্যক্তিদের প্রশাসনের কোথাও না রাখা এবং ডামি নির্বাচনের জন্য দায়ীদের সাজা চেয়েছেন জানিয়ে ফখরুল বলেন, ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের আইনের আওতায় আনার কথা বলেছি। গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি।
তিনি বলেন, কিছু আমলা, সাবেক মন্ত্রী-এমপি দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখার কথা বলেছি। শেখ হাসিনা ভারতে আছেন। এ বিষয়টি নিয়ে দেশটির সঙ্গে কথা বলার কথা আমরা বলেছি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে প্রশাসন পরিচালনার সুপারিশ জানিয়েছি। যারা পদোন্নতিবঞ্চিত ছিল তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির কথা বলেছি।
বিতর্কিত কোনো ব্যক্তিকে যেন নির্বাচন সংস্কারে গঠিত কমিটিতে রাখা না হয় তারও দাবি জানিয়েছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সব ইউনিয়ন পরিষদ (চেয়ারম্যান-মেম্বার) বাতিল করতে বলেছি।
নির্বাচন অনুষ্ঠান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক নম্বর প্রায়োরিটি বলে প্রধান উপদেষ্টা বিএনপিকে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান মির্জা ফখরুল।