মিসাইল হামলার জবাবে ইরানে যে কোনো সময় হামলা চালাবে দখলদার ইসরায়েল। আর এই হামলার পরিধি বড় হবে বলে জানিয়েছেন এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা। হামলায় ইরানের তেল উৎপাদন কেন্দ্র এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে লক্ষ্য ছক কষা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২ অক্টোবর) এক্সিওস নিউজ সাইটের বরাত দিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের পরিকল্পা অনুযায়ী এর সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু ইরানের তেল উৎপাদন স্থাপনা। তবে, ইরানের জেষ্ঠ্য নেতাদের হত্যা করার লক্ষ্যে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়ও হামলার সম্ভাবনা রয়েছে।
এক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলা চালানোর বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। একই সঙ্গে হামলার সময়ও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে ইসরায়েল কয়েকদিনের মধ্যেই হামলা চালাতে পারে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, যদি ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলার জবাবে তেহরান আরেকটি হামলা চালায় সেক্ষেত্রে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলাসহ সব ধরনের বিকল্পই ইসরায়েলের বিবেচনায় থাকবে।
এদিকে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় কোনেও প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করলে ইসরায়েলের সব স্থাপনায় হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি।
মঙ্গলবারের (১ অক্টোবর) ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ইরান ১৮০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে কিছু ‘হাইপারসনিক ফাত্তাহ’ ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল, যেগুলোর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১০ হাজার মাইল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালাল ইরান।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলে আক্রমণ করার জন্য প্রথমবারের মতো ‘হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র’ ব্যবহার করেছে এবং ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।