Published : Friday, 27 September, 2024 at 10:45 AM
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের পর্যটনশিল্প এগিয়ে নেয়া এবং সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালার সংস্কার এবং ট্যুর অপারেশন কার্যক্রমে মূসক প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। এ দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী পর্যটন আন্দোলন পরিষদ।
পরিষদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে ভিশন হলিডেজের ম্যানেজিং পার্টনার মো. শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন, বাংলাদেশের পর্যটনশিল্প বিকাশে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের কার্যক্রম পরিচালনা, পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং এ সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়ে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড (নিবন্ধন ও পরিচালনা) আইন, ২০২১ জাতীয় সংসদে ২০২১ সালে অনুমোদিত হয়। এই আইনের ১৭ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ বছরের ২৮ মার্চ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয় 'বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিধিমালা, ২০২৪'।
পর্যটনশিল্পের ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা ছিল, পর্যটনবান্ধব আইন প্রবর্তনের মাধ্যমে আমাদের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে এবং প্রকৃত পেশাজীবীরাই বৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন। কিন্তু আইন ও বিধিমালার বেশ কয়েকটি ধারা আমাদের হতাশ করেছে, ক্ষেত্রবিশেষে আমরা শঙ্কিত বোধ করছি। এই আইন ও বিধিমালার বেশ কয়েকটি ধারা বাংলাদেশের পর্যটন-শিল্প সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং অনেকে ক্ষেত্রেই স্বার্থবিরোধী ও সাংঘর্ষিক।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর (নিবন্ধন ও পরিচালনা) বিধিমালা, ২০২৪'-এর ৩ নং ধারায় (নিবন্ধনের জন্য আবেদন) বলা হয়েছে, নিবন্ধনের আবেদনপত্রের সঙ্গে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অন্যান্য কাগজপত্রের সঙ্গে ব্যবসায়িক ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে জমির মালিকানা দলিল অথবা ভাড়ার চুক্তিপত্রের অনুলিপি এবং প্রারম্ভিক ব্যবসায়িক মূলধন হিসেবে ১০ লাখ টাকা স্থিতির ব্যাংক সনদ দিতে হবে। এ ছাড়া ৫ নং ধারা (নিবন্ধন সনদ প্রদান ও মেয়াদ) অনুযায়ী, আবেদনকারীকে ৫১ হাজার টাকা নিবন্ধন সনদ ফি ও নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে ৩ লাখ টাকার জামানতও দিতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ ব্যবসায়িক অনুমোদন বা লাইসেন্স নেওয়ার জন্য একজন ট্যুর অপারেটর বা ট্যুর গাইড বা পর্যটন উদ্যোক্তার কমপক্ষে তের লাখ ছাপ্পান্ন হাজার টাকার এককালীন আর্থিক সক্ষমতা থাকতে হবে।
ট্যুর অপারেটরদের সেবায় মূসক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে একই সেবায় দ্বিতীয় দফা মূসক আরোপিত হবে। ভ্রমণ প্যাকেজের মূল্য বেড়ে গেলে সাধারণ পর্যটকদের বড় অংশ পর্যটন-সেবা গ্রহণে আর্থিকভাবে নিরুৎসাহিত হবেন। সার্বিক পর্যটন-বিমুখতার কারণে এ খাতটি চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পর্যটন-উদ্যোক্তা ও পর্যটন-গাইডের মতো প্রত্যক্ষ পেশাজীবীদের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ের হোটেল, রেস্তোঁরা, পরিবহন সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী-সহ প্রান্তিক কয়েক লাখ পরিবারের জীবিকা ও কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়বে।
পর্যটন উদ্যোক্তা ও পেশাজীবীদের পক্ষ থেকে তাদের প্রস্তাবনাগুলো হলো-