Published : Thursday, 26 September, 2024 at 12:48 PM
লেবাননে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) তাদের মিত্ররা। ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে এ ধরনের ঘোষণা এলো। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে ব্যাপক আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নেয় দেশগুলো। পরে এক বিবৃতিতে ২১ দিনের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়। সূত্র : বিবিসি
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের সামরিক প্রধান হারজি হালেভির বুধবারের বক্তব্যের পর তড়িঘড়ি করে সভার আয়োজন করা হয়। হারজি হালেভি সৈন্যদের বলেছিলেন, হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা তাদের শত্রু অঞ্চলে প্রবেশ করার পথ তৈরি করতে পারে। যে কোনো সময় স্থল অভিযানের জন্য তার সেনাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর তালিকায় ১২টি শক্তিশালী দেশের নাম আছে। তারা মনে করে, চলমান সংঘাতের একটি কূটনৈতিক মীমাংসার জন্য সামরিক ফুরসত প্রয়োজন। সে সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতিতেও তারা সম্মত।
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য ও কাতার।
বলা হয়, পাল্টাপাল্টি হামলা আর ইসরায়েল বা লেবাননের জনগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি এখন বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের কারণ। সীমান্ত অঞ্চলে সংঘাত-শত্রুতা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করেছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ পৃথক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত সংঘাত মীমাংসার সময় এসেছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; যাতে বেসামরিক নাগরিকরা তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারে। বর্তমান শত্রুতা বিস্তৃত সংঘাত এবং বেসামরিক নাগরিকদের ব্যাপক ক্ষতির হুমকি দিচ্ছে।
মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, ইসরায়েল বা লেবানন কেউই এই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। যদিও যুক্তরাষ্ট্র উভয় সরকারের সঙ্গেই যোগাযোগ করছে। তাদের অফিশিয়াল প্রতিক্রিয়া কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।