শিরোনাম: |
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন শুরু হয়েছে। এতে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তাকে স্বাগত জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
প্রথা অনুযায়ী, অধিবেশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হচ্ছে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের সপ্তাহ, যা ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। বৈঠকের মাঝে ২৯ সেপ্টেম্বর একটি বিরতি থাকবে। এই বৈঠকে অংশ নেবেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান এবং মন্ত্রীরা, যেখানে বিশ্বব্যাপী চলমান সংকট ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক সম্মেলনের এবারের মূল প্রতিপাদ্য হলো- কাউকে পেছনে না ফেলা : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক মর্যাদার অগ্রগতিতে একযোগে কাজ করা।
এবারের অধিবেশনে টেকসই উন্নয়ন, দ্বন্দ্ব নিরসন ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তা করার মতো বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে। এছাড়া অধিবেশনে গুরুত্ব পেতে পারে গাজা-মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু। আলোচনা হতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও।
আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে নীতিগত পরিবর্তনের আভাস দেখছেন বিশ্লেষকরা। আলোচনার টেবিলে থাকবে জীবাশ্ম জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়।
জীবাশ্ম জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বৈশ্বিক সংকট নিয়েও আলোচনা হতে পারে অধিবেশনে। এছাড়া অধিবেশনের মূল পর্বে ভাষণ দেবেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে বিশ্ব নেতারা এমন এক সময় জড়ো হচ্ছেন, যখন ইউরোপ, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত বেড়েই চলছে। বড় যুদ্ধের আশঙ্কা জাগাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য, ইউক্রেন ও সুদানের সংঘাত। আশা করা হচ্ছে, এ অধিবেশনে বিশ্ব নেতারা যুদ্ধ বন্ধে তাদের কণ্ঠ জোরালো করবেন।
জাতিসংঘে নিজের চতুর্থ এবং শেষ ভাষণ দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এ ভাষণে বাইডেন বর্তমান বৈশ্বিক সংকট তুলে ধরবেন।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে যোগদান করায় শুভেচ্ছা জানিয়েছে জাতিসংঘ। প্রধান উপদেষ্টা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এ সফর করছেন যখন বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।
আপনার মতামত দিন
|