Published : Sunday, 22 September, 2024 at 9:01 PM, Update: 22.09.2024 9:06:30 PM
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় দফায় গড়ানো ভোট গণনায় বিজয়ী হয়েছেন দেশটির ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) নেতা ও বামপন্থী রাজনীতিক অনুরা কুমারা দিশানায়েকে। ঋণ ও অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুরার নাম ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনার পর তাকে বিজয়ী ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যদিয়ে ৫৫ বছর বয়সি দিশানায়েকে দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রথম বামপন্থি রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন।
নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকট থেকে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার প্রায় দুই বছর পর গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। কিন্তু গণনা শেষে দেখা যায়, কোনো প্রার্থীই প্রয়োজনীয় ৫১ শতাংশ ভোট পাননি।
শ্রীলঙ্কার নির্বাচন ব্যবস্থায় একটি ব্যালট পেপারে ভোটারদের জন্য তাদের পছন্দ অনুসারে পর্যায়ক্রমে তিনজন প্রার্থীকে ভোট দেয়ার সুযোগ রয়েছে।
ফলে যদি কোনো প্রার্থী প্রথম গণনায় ৫১ শতাংশ ভোট না পান, তাহলে দ্বিতীয় দফায় ভোট গণনা করা হয়। সেক্ষেত্রে দুই শীর্ষ প্রার্থীকে বিবেচনায় নিয়ে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।
নির্বাচনের নিয়ম মেনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া অর্থাৎ শীর্ষ দুই প্রার্থী অনুরা কুমারা দিসানায়েক ও বিরোধী দলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসার প্রাপ্ত ভোট গণনা করা হয়। এটা শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে প্রথম।
ভোট গণনার পর নির্বাচন কমিশন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে। ভোটের হিসাবে প্রথম হয়েছেন বামপন্থি রাজনীতিক অনুরা কুমারা দিসানায়েক। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা। বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে তৃতীয় হয়েছেন।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সোমবার নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের শপথ নেয়ার কথা রয়েছে।
২০২২ সালে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তখন ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এর পর এই প্রথম দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন এক কোটি ৭০ লাখেরও বেশি ভোটার।
১৯৮২ সালের পর থেকে শ্রীলঙ্কার আটটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রত্যেকটির প্রথম দফাতেই বিজয়ী নির্ধারিত হয়েছে। এবারই প্রথম নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ালো। দেশটির নির্বাচন কমিশন বলেছে, শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ছিল এটি। এরপরও শনিবার রাতের দিকে ‘জননিরাপত্তার’ জন্য কারফিউ ঘোষণা করেছিল পুলিশ।