বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের উন্নত চিকিৎসা দিতে ঢাকায় এসেছে চীনের একটি জাতীয় জরুরি মেডিকেল টিম।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় দলটি।
বিমানবন্দরে মেডিকেল দলটিকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. শেখ সাইদুল হক। এ সময় সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত ও গাম্ভীর্যপূর্ণ স্বাগত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও জানান, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের সময় অনেক বেসামরিক লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদার হিসাবে, চীনা সরকার নিহতদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে এবং নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানায়। চীন এবং বাংলাদেশ একে অপরকে সমর্থন করে আসছে গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করে। অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে চীন সরকার জাতীয় জরুরি মেডিকেল টিম বাংলাদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশকে আঘাতের মূল্যায়ন করতে সাহায্য করবে এবং বাংলাদেশের প্রয়োজনের ভিত্তিতে জরুরি মানবিক চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করবে, যার মধ্যে আরো জরুরি মেডিকেল টিম পাঠানোর জন্য ঘটনাস্থলে রোগীদের চিকিৎসা করা এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরবরাহ করা।
চীনের জাতীয় জরুরি চিকিৎসা দলের প্রধান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের (এনএইচসি) মেডিকেল ইমার্জেন্সি রেসপন্স বিভাগের উপ-পরিচালক মি. ডং কিয়ান বলেছেন, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এজেন্সি (সিআইডিসিএ) এবং বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় মানবিক সহায়তা দিতে ঢাকায় এসেছে দলটি। সাধারণ সার্জারি, ট্রমা কেয়ার, অর্থোপেডিকস, পুনর্বাসন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার, চক্ষুবিদ্যা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে বিশেষত্ব সহ ওয়েস্ট চায়না হাসপাতালের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই দলটি চীনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় হাসপাতাল।
বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জনাব শেখ সাইদুল হক বাংলাদেশে একটি জরুরি মেডিকেল টিম পাঠানোর জন্য চীন সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এটিই প্রথম মেডিকেল টিম। অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদেশী সরকার বাংলাদেশে প্রেরণ করেছে। কোভিড-১৯, ডেঙ্গু বা বন্যার বিরুদ্ধে লড়াই করা যাই হোক না কেন, চীনা বন্ধুরা সবসময় বাংলাদেশিদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশি পক্ষ চীনের জাতীয় জরুরি মেডিকেল টিমকে পূর্ণ সহযোগিতা ও সহায়তা প্রদান করবে যাতে আরো আহতদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুনরুদ্ধার করা যায়।